ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে অনশনরত আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আখতার হোসেনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবারের (১৮ অক্টোবর) মধ্যে ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। তা না-হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশের এই ঘোষণা দেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন।
ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস স্বীকার করে নেওয়ার পরও ফল প্রকাশ করা অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ প্রশাসনের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান-সম্মান ধরে রাখা ছাত্রদের নৈতিক দায়িত্ব।’
এর আগে পরীক্ষা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে পরিষদের অন্তত পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘুরে পুনরায় টিএসসিতে আসে।
পরীক্ষা বাতিলের দাবি ছাত্রলীগের
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের পরীক্ষা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পুনরায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চার দফা দাবি জানানো হয়। তাদের দাবিগুলো হলো- ১. যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পুনরায় পরীক্ষা অথবা উত্তীর্ণদের নিয়ে বিশেষ পরীক্ষা নেওয়া। ২. ডিজিটাল জালিয়াতি বা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ৩. অসদুপায় উপায়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল। ৪. ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতির সংস্কার করা।
সাদাদলের শিক্ষকদের বিবৃতি
বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়র বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
বিবৃতিতে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রদানের আগেই ফলাফল প্রকাশে নিন্দা জানানো হয়। এর সঙ্গে অবিলম্বে পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।