‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৮’-এর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মোড়ক উন্মোচন হয়েছে ‘ইলিয়াস: ইলোজি অ্যান্ড ড্রিম’ বইটির। বাংলাদেশের কালজয়ী কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ওপর বইটি লিখেছেন শুভ্ররঞ্জন দাসগুপ্ত। বাংলা একাডেমির কসমিক টেন্টে বইটির মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি ব্যক্তি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ও তার কাজ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচক ছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ছোট ভাই শিক্ষাবিদ অধ্যাপক খালেকুজ্জামান ইলিয়াস, ঔপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলন এবং অধ্যাপক আফসান চৌধুরী।
‘ইলিয়াস’ শীর্ষক এ আলোচনার শুরুতেই সঞ্চালক শর্মী হুসেইন ইলিয়াসের জন্ম, পরিচয় ও বেড়ে ওঠার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। খালেকুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, ‘ইলিয়াসের প্রথম জীবন থেকেই সাহিত্যবোধ ছিল। তার সম্পূর্ণ জীবনই সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে। ইলিয়াসের মৃত্যু জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস একজন কবি ছিলেন। তার উপন্যাসগুলো কবিতা হয়ে উঠেছে।’
এমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘ইলিয়াস ভাইয়ের কথাগুলো এতটাই কাব্যিক ছিল যে উপন্যাসগুলো কবিতাই মনে হতো। ইলিয়াস ভাই ভাষাকে ভাঙতে জানতেন।’ খালেকুজ্জামান ইলিয়াস এর সঙ্গে যুক্ত করেন ‘সৃজনশীল হতে হলে কবি হতে হয়।’
“ঢাকার চিত্রকল্প ফুটে উঠেছে ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসে। ঢাকা এই উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র”— কথাগুলো বলেন লেখক শুভ্ররঞ্জন দাসগুপ্ত। শুভ্ররঞ্জন দাসগুপ্ত তার স্মৃতিচারণ থেকেই ‘ইলিয়াস: ইলোজি অ্যান্ড ড্রিম’ বইটি রচনা করেন। বইটিতে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জ্ঞানের সঙ্গে নন্দনতত্ত্বের যে অনুভব তা এবং তার চিন্তা-চেতনা, রাজনৈতিক ভাবনা— এসব ঠাঁই পেয়েছে।
সঞ্চালক শর্মী হুসেইন আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের উপন্যাস বা ছোট গল্পের এখন পর্যন্ত কোনও অনুবাদ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে এমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘ইলিয়াস ভাইয়ের লেখনীর যে শক্তি এবং তার ভাষার যা প্রখরতা, তা কীভাবে অন্য ভাষায় আনা যাবে তা নিয়ে অনুবাদকেরা দীর্ঘদিন ধরে ভাবছেন।’
অধ্যাপক খালেকুজ্জামান ইলিয়াস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসটির অনুবাদের কাজ শুরু হয়েছে এবং তা খুব শিগগিরই পাঠকের হাতে পৌঁছাবে।