২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় একুশে গ্রন্থমেলা পাঠক ও ক্রেতাদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করতে এর নকশা পুনর্বিন্যাসের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ লেখক ঐক্য। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এজন্য বাংলা একাডেমির কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবও পেশ করা হয়েছে। শনিবার (১৭ নভেম্বর) হাতিরপুলের রোজভিউ প্লাজার ‘লেখক আড্ডা’য় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবগুলো পাঠ করেন বাংলাদেশ লেখক আড্ডার সভাপতি ফাহমিদুল হক। এসময় গ্রন্থমেলার নতুন একটি খসড়া বিন্যাস ও নকশা প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করেন ডিজাইনার মেহেদী হক।
ফাহমিদুল হক বলেন, বাংলাদেশ লেখক ঐক্য বিদ্যমান মেলা বিন্যাসের নানান সীমাবদ্ধতা খুঁজে পেয়েছে। বিদ্যমান মেলা বিন্যাসে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বাঁক ও আড়াল রয়েছে, নকশার কারণে অনেক স্টল একেবারে আড়ালে পড়ে যায়, পাঠকরা সহজে কাঙ্ক্ষিত স্টল খুঁজে পান না, প্রচুর স্থান অপচয় হয়, দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের উপায় থাকে না। ফলে স্টলবিন্যাসের নকশা পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রস্তাবিত নকশা ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য যেসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয় তার মধ্যে রয়েছে, মেলার সময়সীমা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বাড়ানো ও ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে মেলা সকাল ১১টা থেকে শুরু করা, মেলা পরিচালনা কমিটিতে লেখকদের অন্তর্ভুক্ত করা, লেখক সম্মানী নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ আইনি সেল ও বুথ খোলা, বাংলা ধ্রুপদী সাহিত্যের পৃথক স্টল বরাদ্দ করা ইত্যাদি।
এসময় ডিজাইনার মেহেদী হক প্রস্তাবিত নকশাটি সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য ‘বাংলাদেশ লেখক ঐক্য’র প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত দুই বছরে বইমেলাকে সামনে রেখে এই সংগঠন আরও দু’টি সংবাদ সম্মেলন করেছিল এবং বইমেলা ও সাহিত্যচর্চার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবগুলো পেশ করেছিল। সেই প্রস্তাবগুলোর কিছু কিছু তারা বাস্তবায়নও করেছিল। এজন্য সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি প্রাবন্ধিক আরশাদ সিদ্দিকী, কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম, অনুবাদক জিএইচ হাবীব, সাবেক সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক রাখাল রাহা, সংগঠনের প্রচার সম্পাদক নাট্যকার ও আবৃত্তিকার আলমগীর খান, কথাসাহিত্যিক নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, সাহিত্য সংগঠক নাজিফা তাসনিম প্রমুখ।