বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা কিংবা দণ্ড স্থগিত হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর আগামীকাল শনিবার (১ ডিসেম্বর) চেম্বার আদালতে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাসুদ হাসান চৌধুরী বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ আমরা স্থগিত চেয়ে আবেদন তৈরি করেছি। আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে দাখিল ও শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে শনিবার। ওই দিন সকাল ১০টায় আমাদের আবেদনের ওপর শুনানি হবে।’
সরকারি ছুটির দিনে অর্থাৎ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে কোনও আইনগত বাধা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী জানান, চেম্বার আদালত যে কোনও দিন, যে কোনও প্রয়োজনে বসতে পারে। এখানে কোনও আইনি বিধি-নিষেধ নেই। তাছাড়া আমরা ইতোমধ্যে মামলার উভয়পক্ষকেই শুনানিতে থাকার জন্য অবহিত করেছি।’
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে আদেশ দেন বিচারপতি মোহাম্মদ রইচ উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।
পরে সাবিরা সুলতানার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, বিচারিক আদালতের দেওয়া সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তারা হাইকোর্টে সাজা বা দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
তবে গত ২৯ নভেম্বর সুপ্রিকোর্টের নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘সংবিধান অনুসারে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য হবেন। তাই হাইকোর্টের এই একক বেঞ্চের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিলে যাবো।’
তবে, গত ২৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতে কোনও ব্যক্তি দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এর ফলে বিচারিক আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) দণ্ড স্থগিত করা হলে কিংবা আপিল চলাকালে কোনও ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দণ্ড স্থগিত কিংবা বাতিল হলে ওই ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নিতে কোনও বাধা থাকবে না বলা হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকছে বলে জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।