X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডাকসু নির্বাচনের আগে সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবি

সিরাজুল ইসলাম রুবেল
১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৭আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:২৮

ডাকসু দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলারও কেউ নেই। অনেক প্রতীক্ষার পর আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার তারিখ নির্ধারণ করেছেন কর্তৃপক্ষ। এখন সেই লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠনগুলো। এ বিষয়ে ডাকসুর কয়েকজন সাবেক নেতা মনে করেন, ডাকসু নির্বাচনের আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

ইতোমধ্যে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের গঠিত কমিটি গত ১০ জানুয়ারি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে। ওই সভায় ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে পদাধিকার বলে ডাকসুর সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ক্ষমতার ভারসাম্য, ডাকসুতে নতুন সম্পাদক পদ সৃষ্টি এবং নারী নেতৃত্বের বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়। এছাড়াও ছাত্রদল এবং বাম সংগঠনগুলো দ্রুত তফসিল ঘোষণা এবং তার আগে সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর বিভিন্ন দাবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা হয় ডাকসুর সাবেক কয়েকজন সহ-সভাপতি (ভিপি) এবং সাধারণ সম্পাদকের (জিএস) সঙ্গে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম বলেন, ‘এখন থেকে ৫০ বছর আগের কথা। আমার একাডেমিক সেশন ছিল ১৯৬৬-১৯৬৭। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম তখন ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। তখনকার পরিবেশ আর বর্তমান পরিবেশের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। ছাত্ররা তো অনেক দিন ধরে ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশের মধ্যেই নেই। ফলে তাদের মানসিকতা, তাদের আচরণ-আচরণ এবং চিন্তার পার্থক্য রয়েছে। আমরা লক্ষ করেছি, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেই সরকারের ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল বা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করছে। এর আগে বিএনপির সময়কালে তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল নিয়ন্ত্রণ করেছে। ছাত্রদের অধিকার রক্ষার জন্য ডাকসু নির্বাচন সবার দাবি। ডাকসু না থাকার কারণে তরুণরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। তারা রাজনীতি এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চর্চা না করে নানা রকমের খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই ছাত্র সংসদ থাকার বড় কারণ ছিল ছাত্রদের সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা। কিন্তু ডাকসু না থাকায় তারা এ ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
‘যারা আজকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে তাদের ছাত্রসংগঠন যেমন প্রত্যেকটি হলে আছে, তেমনি অন্য সংগঠনগুলো যেন হলে সহাবস্থান পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচনে সব ছাত্র সংগঠন যেন সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সে সুযোগ থাকতে হবে। আবার যারা ভোটার তারাও যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। এভাবে নির্বাচন দেওয়া খুব যে কঠিন তা বলবো না। সরকারের এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষের যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়া সম্ভব বলে আমি মনে করি। তবে, ইতোমধ্যে সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিষয়টি সমাধান হলে ডাকসু নির্বাচন হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
ডাকসুতে নারী নেতৃত্ব তৈরির প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নারী নেতৃত্ব আগে ডাকসুতে ছিল। এখন সুনির্দিষ্ট পদ তৈরি হলে আরও ভালো।’
ডাকসুর সভাপতির ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রদেরকে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ভিতর দিয়ে একটি জায়গায় আসতে হবে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তার একধরনের ক্ষমতা আছেই। কিন্তু ডাকসুর সভাপতি হিসেবে তার কিছু ক্ষমতা তো থাকবেই। তার সঙ্গে সমন্বয় করে ভারসাম্য করতে হবে।’
এসব প্রস্তাবের বিষয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ডাকসুর প্রথম সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মাহবুব জামান বলেন, ‘এখন অনেকে বলছে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নেই; কিন্তু আমার ধারণা ডাকসু নির্বাচন দিলে ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়ে যাবে। হয়তো প্রাথমিকভাবে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটা ছাত্রসংগঠনের একক আধিপত্য থাকবে বলে আমি মনে করি না। যদি ছাত্ররাই প্রথম থেকে নির্বাচনটাকে তাদের অধিকার হিসেবে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করে, তাহলে দেখা যাবে সব দল ক্যাম্পাসে চলে আসবে। তারপরেও নির্বাচনের পরিবেশ একটু এদিক-সেদিক হতে পারে। কিন্তু সেজন্য নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখা কোনোক্রমেই উচিত নয়। নির্বাচন দেওয়াটা খুবই প্রয়োজন। এটি ছাত্রদের মেধার বিকাশের জন্যই প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় ডাকসু নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো এবং বিভাগগুলোতে নির্বাচন অবশ্যই হওয়া উচিত। ডাকসু নির্বাচন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে। আমাদের সময় প্রথমে হলগুলোর নির্বাচন হতো। তারপর প্রতিটি বিভাগে নির্বাচন হতো। বিভাগের নির্বাচনগুলো কোনও দল হিসেবে হতো না। হলগুলোতে সব ছাত্র সংগঠন অংশগ্রহণ করতো। কেউ কেউ আবার স্বতন্ত্র নির্বাচনে দাঁড়াতো। তখন ডাকসু নির্বাচন অবশ্যই উৎসবমুখর পরিবেশে হতো। এখন যদি ডাকসু নির্বাচন হয়, তাহলে সাধারণ ছাত্ররা উৎসাহী হয়ে অংশগ্রহণ করবে।’
পদাধিকার বলে ডাকসুর সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। গঠনতন্ত্রের ৫-এর (এ) ধারায় ডাকসুর সভাপতি যেকোনও সময় নির্বাহী কোনও সদস্যকে বরখাস্ত করতে পারেন এবং ৮-এর (এম) ধারায় নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে সভাপতির গৃহীত কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের রায় কার্যকর হবে না। এ ধারার সংশোধন এনে সভাপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার জন্য প্রগতিশীল ছাত্রজোট ‘ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন’ কমিটির কাছে প্রস্তাব রেখেছে।
এ বিষয়ে মাহবুব জামান বলেন, ‘ডাকসুর সভাপতি উপাচার্য হওয়া ভালো। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্র সংসদের সংযোগ হয়। গঠনতন্ত্রের ধারাগুলো তখনই সংশোধন হয়,যখন কোনও বিরোধ তৈরি হয়। আমাদের সময় এসব ধারা নিয়ে কোনও বিরোধ হয়নি। তবে, যদি এ ধারাগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন মনে করা হয়, তাহলে সেটি করার পর নির্বাচন হওয়া জরুরি। তবে, ডাকসুর সভাপতির যে ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলা হচ্ছে,সে বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি– এখানে নামেমাত্র উপাচার্য সভাপতি থাকেন। বাস্তবে সভাপতির কোনও কাজ থাকে না। এমনকি ছাত্র সংসদের যে অনুষ্ঠানগুলো হয়, সে অনুষ্ঠানগুলোও ডাকসুর যিনি ভিপি তিনিই করে থাকেন। কাজেই সভাপতি থাকলেও তার (উপাচার্য) অনেক বেশি প্রভাব থাকে না।’
নারী নেতৃত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় ডাকসুর এজিএস সাধারণত একজন মেয়ে হতো। ছাত্রীদের নেতৃত্বের জন্য যদি পদের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা প্রয়োজন মনে করা হয় তাহলে তা করা উচিত। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। এক্ষেত্রে ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদকের একটা পদ থাকতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘ডাকসুর সভাপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রয়োজন আছে। বর্তমান সভাপতিকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ৫-এর (এ) ধারার সংশোধন হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। প্রগতিশীল ছাত্রজোট একটি দাবি জানিয়েছে– ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এবং ক্যাম্পাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে হলগুলোর মধ্যে পোলিং সেন্টার না করে বাইরে করা। তাদের দাবিকে আমি সমর্থন করি।’
এসব বিষয়ে ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলী বলেন, ‘এরশাদের সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সহাবস্থান ছিলো। এরপরে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তার করে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি আছে, সে পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে হবে। ডাকসুর জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। ডাকসুর সভাপতির ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডাকসুর সভাপতি অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ক্ষমতা গঠনতন্ত্রে উল্লেখ থাকলেও তিনি চাইলে তা পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারেন না।’
ডাকসু নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীরা কী পাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ডাকসুর গুরুত্ব অনেক বেশি। এখানে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক মেধার চর্চা হবে। সংসদের অনেক ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা বিকাশিত করার সুযোগ পাবে। এটি শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই হওয়া প্রয়োজন এমন নয়। এটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে প্রাণবন্ত করার জন্য প্রয়োজন।’

ক্যাম্পাসে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে সহাবস্থান বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘সবার সহাবস্থানকে আমরা স্বাগতম জানাই। ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে৷ সবাই ক্লাস করছে, টিএসসিতে আড্ডা দিচ্ছে। তাদের কোথাও কোনও বাধা দেওয়া হচ্ছে না। যারা ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাবে, তাদের মনে সমস্যা আছে। আমরা কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যদি নষ্ট করে তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করবে। আমরা তাদের ক্যাম্পাসে আসতে বাধা দেবো না। তবে তাদের সঙ্গে যদি শিবিরের সদস্যরা ঢোকে তাহলে আমরা তা মেনে নেবো না।’ 

/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন বিসমাহ মারুফ 
১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন বিসমাহ মারুফ 
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার মৃত্যুদণ্ড
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার মৃত্যুদণ্ড
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা সিইসির
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা সিইসির
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না