ছিনতাই হওয়া স্কুটিটি ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন শাহনাজ আক্তার পুতুল। ওড়না দিয়ে মুছতে শুরু করেন বাইকটি। বাইকটি উদ্ধার করে দেওয়ায় তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে উদ্ধার করা বাইকটি শাহনাজের হাতে তুলে দেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। উপহার হিসেবে তেজগাঁও পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
স্কুটি ছিনতাইয়ের ১২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করে দেওয়ায় পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। শাহনাজ বলেন, ‘অক্লান্ত পরিশ্রম করে পুলিশ ভাইয়েরা আমার বাইকটি উদ্ধার করে দিয়েছেন। তারা যেন,আমার মতো অন্য সাধারণ মানুষের পাশেও এভাবে থাকেন, এই কামনা করি।’
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উবারের বাইকার শাহনাজের স্কুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় জুবায়দুল ইসলাম জনি নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে চালানোর বাহানায় শাহানাজ স্কুটি ছিনতাই করেন জনি নামের এক দুর্বৃত্ত। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন মানিক মিয়া এভিনিউতে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এদিন রাতেই শাহানাজ বাদী হয়ে স্কুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনিকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, ১০ জানুয়ারি মিরপুরের শ্যামলী এলাকায় জনির সঙ্গে শাহনাজের পরিচয় হয়। এসময় তিনি নিজেকে পাঠাও চালক বলে পরিচয় দেন। সে আমাকে (শাহনাজ) একটি স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবে বলে জানান। আমি তার কথায় কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করি। এর জন্য ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার সময় জনি আমাকে খামার বাড়িতে আসতে বলেন। তার কথামতো স্কুটি নিয়ে যথাসময় সময় সেখানে এসে তার সঙ্গে দেখা করি। এরপর হঠাৎ সে আমার স্কুটিতে উঠে বসেন এবং আমাকে নিয়ে বিমানবন্দর এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর পুনরায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে একটি টং দোকানে জনিকে নিয়ে চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় তিনি কৌশল করে আমার স্কুটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ছবি: আমানুর রহমান রনি।
আরও পড়ুন:
ফতুল্লা থেকে শাহনাজের স্কুটি উদ্ধার