X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠ্যপুস্তকে নারীর প্রতি ‘অবমাননাকর’ কনটেন্ট, আসকের প্রতিবাদ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০২আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৩১

আইন ও সালিশ কেন্দ্র জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও নবম-দশম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ে কিশোরীর উপযুক্ত পোশাক, আচরণ, নিরাপত্তা রক্ষায় করণীয় এবং বিভিন্ন শারীরিক গড়নের মেয়েদের যেভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত আপত্তিজনক ও দৃষ্টিকটু। এতে শিক্ষার্থীদের বর্ণবৈষম্যমূলক বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নবম-দশম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বইয়ের ‘পোশাকের শিল্প উপাদান ও শিল্পনীতি’ অধ্যায়ে মোটা, খাটো, ফরসা, শ্যামলা বর্ণের মেয়ে বা নারীরা কোন পোশাক পরবেন তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বইয়ে বলা হয়েছে, ‘বেশি স্ফীত বুক ও প্রশস্ত কোমরের অধিকারীদের জন্য ঢিলেঢালা পোশাক উপযুক্ত। প্রশস্ত কোমরের ত্রুটি সুপরিকল্পিত মানানসই কোমররেখার মাধ্যমে ঢাকা যায়।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ফরসা মেয়েকে যেকোনও রঙের পোশাকেই সুন্দর দেখাবে। অন্যদিকে গায়ের রঙ শ্যামলা হলে গাঢ় রঙ বর্জন করে হালকা রঙ নির্বাচন করতে হবে যাতে তার গায়ের রঙ উজ্জ্বল দেখায়।’
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বইয়ের ‘পোশাকের যত্ন ও পারিপাট্যতা’ শীর্ষক অষ্টাদশ অধ্যায়ে মানানসই পোশাকের রঙ নির্বাচন করে দেহের ক্ষীণতা এবং স্থূলতা ঢাকার কৌশল শেখানোর পাশাপাশি শ্যামলা রঙের মেয়েদের দেহের বর্ণ কীভাবে উজ্জ্বল দেখানো যাবে, তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবার ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বইয়ের ‘কৈশোরকালীন পরিবর্তন ও নিজের নিরাপত্তা রক্ষা’ বিষয়ক সপ্তম অধ্যায়ে কিশোরীদের দৈহিক পরিবর্তন নিয়ে সংকোচ দূর করতে উপযুক্ত পোশাক পরিধানের সুপারিশ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা উপকরণে কীভাবে এমন কুরুচিপূর্ণ, অগ্রহণযোগ্য ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য স্থান পেলো সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
সংগঠনটির মতে, পাঠ্যপুস্তকের কনটেন্ট নির্বাচনে আরও বেশি সতর্কতার প্রয়োজন। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এসব পাঠ্যপুস্তক পড়ে নিজেকে গড়ে তুলবে। দেশ গঠনে কাজ করবে। তাদের আমরা শুরুতেই যদি নারীর প্রতি, মানুষের প্রতি অবমাননাকর এমন সব শিক্ষা দিয়ে থাকি, তবে তা আমাদের জাতির জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে। মেয়ে শিশুদের আত্মমর্যাদাবোধ তৈরির জন্য এসব শিক্ষা কোনোভাবেই উপযুক্ত নয়।
জরুরিভাবে পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা করে এ ধরনের কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।

/জেইউ/ওআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা