রাজধানীর উত্তরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় হিযবুত তাহরীরের ছয় সদস্যর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হয়নি। মামলাটি রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে আবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) মামালটি রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।
এর আগেও গত ১৩ জানুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো রায় ঘোষণার তারিখ পেছালো।
আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মামলায় যেসব সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেনি, বিচারক তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।’
এ মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলো হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী মোরশেদুল হক প্লাবন, সদস্য তানভীর আহম্মেদ, সাইদুর রহমান, তৌহিদুল আলম ও আবু ইউসুফ আলী।
২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে তাকওয়া মসজিদের পশ্চিম পাশে হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের কিছু সদস্য জড়ো হয়। তারা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা করে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে সরকারবিরোধী লিফলেট ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। পরে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ অভিযোগপত্রে দুজনকে অব্যাহতিরও সুপারিশ করা হয়।
এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত কামরুল হোসেন মোল্লা ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে বিচারক দুই আসামি হোসেন মিয়া ও ফরিদ মন্ডলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।