বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও বন্ডেড পণ্য চোরাইপথে খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে বিপুল পরিমাণ বন্ডেড পণ্যসহ ৭টি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেছে ঢাকার কাস্টমস বন্ড কমিশনারের কার্যালয়।
রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট, ইসলামপুর, বিরুলিয়া, গুলিস্তান সংলগ্ন বিভিন্ন পয়েন্টে রাতভর অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করা হয় বলে জানান সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দু’টি পৃথক প্রিভেন্টিভ টিম রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে। উপ কমিশনার রেজভী আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত দল জিরো পয়েন্ট ও ইসলামপুর এলাকায় অভিযানকালে মোট ৪টি গাড়ি (কাভার্ড ভ্যান) জব্দ করে। এসব গাড়ির নম্বর যথাক্রমে ঢাকা মেট্রো ট-১৫০৫৯৪, ঢাকা মেট্রো ট-১১৫০১১, ঢাকা মেট্রো ট-১১৩৭৫৪, এবং ঢাকা মেট্রো ট-১৩১৩৬৪। জব্দ পণ্যের রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ফেব্রিকস এবং এসিটিক অ্যাসিড। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— যথাক্রমে গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস, খান এন্টারপ্রাইজ, নীপা গার্মেন্টস এবং নোমান গ্রুপ।
সহকারী কমিশনার মো. আল আমিনের নেতৃত্বে একই রাতে বিরুলিয়া বেড়ি বাঁধ ও গুলিস্তান এলাকায় ধাওয়া করে তিনটি কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়। এ তিনটি গাড়ির নম্বর যথাক্রমে— ঢাকা মেট্রো ট-১৫২১৪২, ঢাকা মেট্রো ট-১১১৫৯৭ এবং ঢাকা মেট্রো ট-১১৪৯৪৮। এই তিনটি গাড়ি থেকে জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে পিপি দানা ও ডেনিম ফেব্রিকস। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— ফারদিন এক্সেসরিজ লিমিটেড, উত্তরা ইপিজেড, নীলফামারী এবং নাইস ডেনিম লিমিটেড, মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুর।
সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন জানান, জব্দ করা পণ্যের মোট মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এসব পণ্যের বিপরীতে আদায়যোগ্য শুল্কের পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা। এ বিষয়ে কাস্টমস আইনে বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ডিং কার্যক্রম ও আমদানি রফতানির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও শুল্ক-করাদি ফাঁকি প্রতিরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুসৃত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আওতায় এবং কমিশনারের গতিশীল নেতৃত্বে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।