X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১
এসএসসি’র ফরম পূরণ

রাজধানীর ৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত আদায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা

এস এম আববাস
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৬আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২৯

মাউশি

রাজধানীর ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮ হাজার ৮৮০ টাকা অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা আদায়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কে এল জুবিলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয়, আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ওয়েস্ট অ্যন্ড হাইস্কুল ও এসওএস হারমান মেইনার স্কুল অ্যান্ড কলেজকে চিহ্নিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। অধিদফতরের ১১টি তদারকি টিমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এসব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১০ লাখ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আদায় করেছে বলে তদারকি টিমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অতিরিক্ত ফি আদায় সম্পর্কে তদারকি টিমকে কোনও তথ্য দেয়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফরম পূরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে বলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান বলেছে, তারা টাকা ফেরত দিয়েছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান বলেছে, রেজ্যুলেশন করে টাকা নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা ১১টি টিমের প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা সংক্রান্ত সব বিষয়ের দায়িত্ব পালন করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। মন্ত্রণালয় কৌশল, নীতি ও সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। সেই হিসেবে রাজধানীর অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলে, ‘আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। ইতোমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান টাকা ফেরত দিয়েছে, যারা ফেরত দেয়নি বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ উঠলে গত ২০ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তদন্তের জন্য ১১টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য একটি করে কমিটি গঠন করে। প্রতিটি কমিটিতে রাখা হয় তিন জন করে সদস্য।

এসব কমিটি রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শন করে অভিযুক্ত ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০টি প্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার তথ্য সংগ্রহ করে। শুধু বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় নামের একটি প্রতিষ্ঠান তথ্য দেয়নি।

তবে তদন্ত টিমের কাছে তথ্য না দেওয়ার ব্যাপারে আলাতুনন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ শামসুল আলম বাংলা বলেন, ‘আমরা তথ্য দিয়েছি। অতিরিক্ত টাকা আমরা নেইনি।’

এদিকে মাউশির গঠন করা ১১টি টিমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর ইসলামবাগ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ৭৭ জন ছাত্রের কাছ থেকে জনপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকা করে আদায় করেছে ৯২ হাজার ৪০০।

ইসলামবাগ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৩০ হাজার ৫০০ টাকা।

রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

মুকুলিয়া শিক্ষালয়ের ৬৯ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার ১৫০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৫০ টাকা।

ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুলের ২২৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ হাজার করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

জামিলা খাতুন লালবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার ৭০০ করে আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টাকা।

নতুন পল্টন লাইন স্কুলের ১৬৯ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার ৮৫০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৬৫০ টাকা।

শহীদ মানিক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার ১০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা।

শহীদ শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।

গজমহল ট্যানারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার ৮০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা তহয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা।

সালেহা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩১০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার ৩৫০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৭ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা।

ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি এক হাজার ৫২০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮০ টাকা।

আশরাফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৭০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

হাজী আব্দুল আওয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার ৭০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ টাকা।

বাড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৫৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার ২০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ১৯ লাখ ১৫ হাজার ২০০ টাকা।

মডেল একাডেমি মিরপুর-১ প্রতিষ্ঠানের ২৪৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার ৪০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা।

পল্লবী মাজেদুল ইসলাম মডেল স্কুলের ১২২ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ হাজার ১৫০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা।

ধামাল কোর্ট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার ২৬৫ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৩ লাখ দুই হাজার ৮১৫ টাকা।

আলহাজ আব্বাস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি  ৩ হাজার ৪০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৩২০ টাকা।

মিরপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার ৩০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা।

ড. মুহাম্মদ সহীদুল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫৫ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার ৬০০ করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

এসওএস হারমান মেইনার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১০৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৮ হাজার ৮০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮০০ টাকা।

ইব্রাহিমপুর সালাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ২৫৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ১ হাজার ২০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৪০০ টাকা।

দক্ষিণ কাফরুল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ৭১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ১ হাজার করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৭১ হাজার টাকা।

সেন্ট গ্রেগরি উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৮ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৮ হাজার ৪০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ টাকা।

সেন্ট ফ্রান্সিস জেবিয়ার্স গার্লস হাইস্কুল ২৪৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৮ হাজার করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

ঢাকা সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুল ১৬১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ হাজার ১৩০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৮ লাখ ২৫ হাজার ৯৩০ টাকা।

দক্ষিণ মুহছেন্দি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৭৮ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার ৬০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ২ লাখ ২ হাজার ৮০০ টাকা।

আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২৬৬ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার ৭০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১২ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা।

হাম্মাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১২৫ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার ১২৫ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬২৫ টাকা।

রমনা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় ৬০ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ১ হাজার ৯০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

বংশাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৪৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার ৩৫০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯১০ টাকা।

মিল্লাত উচ্চ বিদ্যালয় ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার ২০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।

পোগোজ স্কুল ২১৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার ৫৫০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০ টাকা।

গ্রাজুয়েটস উচ্চ বিদ্যালয় ৭১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ১ হাজার ২০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে  ৮৫ হাজার ২০০ টাকা।

কে এল জুবিলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৪৭৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ হাজার ২৫০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৫০ টাকা।

আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৪৮২ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ করে অতিরিক্ত আদায় করেছে ১২ লাখ ৫ হাজার টাকা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশনার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থা তদারকি টিম করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।

অভিযোগের ব্যাপারে বাড্ডা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে রেজ্যুলেশন করে তিন হাজার টাকা বেশি নিয়েছি। এক হাজার টাকা মডেল টেস্টের জন্য আর দুই হাজার টাকা কোচিংয়ের জন্য।’

এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে জনপ্রতি ৮ হাজার করে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেঝের অধ্যক্ষ স্যার মেরী পালমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উনারা (মাউশির তদারকি টিম) তদন্ত করে গেছেন।’

তদারকি টিম টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মেরী পালমা আরও বলেন, ‘আমি ওই সময় ট্রেনিংয়ে ছিলাম, আমি বলতে পারবো না। আর এখন আমি বাইরে, আমি এখন বলতে পারবো না।’

 

 

 

/এএইচ/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী