দেশব্যাপী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও উন্নয়নকে টেকসই করতে উদ্যোক্তা উন্নয়নে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য আর্থিক খাতের সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি উদ্যোক্তা নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব আছে তাদের। সম্প্রতি রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের এন্টারপ্রেনারশিপ ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তারা। এর বিষয়বস্তু ছিল ‘ইন্টারন্যাশালাইজেশন অব অন্ট্রাপ্রেনিউরিয়াল অ্যাক্টিভিটিস ফর এমপ্লয়মেন্ট’। এতে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা ও তরুণ উদ্যোক্তারা অংশ নেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী আয় বৈষম্য এখন প্রকট। বাংলাদেশেও একই চিত্র। আয় বৈষম্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অন্যতম বাধা। এটি দূর করতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা এখন সময়ের দাবি।’
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘দেশের উদ্যোক্তারা সাহসী। সব ধরনের বাধা মোকাবিলা করেই এগিয়ে চলেছেন তারা। তবে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে সরকারের আর্থিক নীতি সহায়তা ছাড়াও অবকাঠামোগত বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী। তার কথায়, ‘দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তরুণ এখনও কোনও ধরনের চাকরি, লেখাপড়া এমনকি প্রশিক্ষণের মধ্যে নেই। তরুণদের কর্মসংস্থান ও আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন ও তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, ‘দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য এখনই সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে রোল মডেল ছিলাম। সামনের দিনে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’
ট্রাস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোমায়রা আজম বলেন, ‘ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে হবে। ব্যাংকিং সেবা থেকে দূরে থাকা সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে স্বল্প খরচে এই সেবা দিতে হবে।’
