সকালের হঠাৎ বৃষ্টিতে অমর একুশে গ্রন্থমেলার বেশ কিছু স্টলে পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়াও পানি জমেছে অনেক জায়গায়। প্রকাশকরা বলছেন, স্টলগুলোর ওপরে থাকা ছাউনির টিনের মান খারাপ হওয়ায় বৃষ্টিতে বই ভিজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বাংলা একাডেমি বলছে, ‘গত তিন দিন ধরে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনার আগাম বার্তা দিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।’
রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেলায় প্রবেশ করে দেখা যায়, সারি সারি বই শুকাতে দিচ্ছেন স্টলের বিক্রেতারা। কোনও কোনও স্টলের ছাউনির টিনের অংশ খুলে গেছে। বেশকিছু জায়গায় এলোমেলো প্ল্যাকার্ড ছড়ানো। বৃষ্টিতে প্রচুর বই ভিজে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রকাশকদের কয়েকজন। নিজ নিজ স্টলের সামনে বই শুকাতে ব্যস্ত কর্মীরা বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টিতে প্রস্তুতি না থাকায় স্টলে পানি ঢুকে বেশিরভাগ বই ভিজে গেছে।’
স্টল বানাতে নিজেদের গাফিলতি ছিল না দাবি করে দোকানিরা বলছেন, তাদের প্রস্তুতির কোনও কমতি ছিল না।
তাদের অভিযোগ, বাংলা একাডেমির অব্যবস্থাপনার জন্যই স্টলের মধ্যে বৃষ্টি পানি প্রবেশ করতে পেরেছে। স্টলের ওপরে টিনের যে ছাউনি দেওয়া হয়েছে, তা ফাঁকা ছিল এবং মজবুত ছিল না।
বাবুই প্রকাশনীর মালিক কথাসাহিত্যিক মোরশেদ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার ধারণা, প্রায় ৪০ হাজার টাকা মূল্যের বই ভিজে গেছে।’
আবহাওয়ার বিষয়ে আগে সর্তক করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, করেছে। তবে আজকের কথা বলেনি।’
উৎস প্রকাশনীর দোকানি সাজেদুল ইসলাম কিরন বলেন, ‘আমার বেশিরভাগ বই ভিজে গেছে। মূল্য প্রায় এক লাখ টাকার কাছাকাছি।’
এবিষয়ে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে আবহাওয়া পূর্বাভাসের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। অনেকে হয়তো ব্যবস্থা নিতে পারেননি, কিন্তু আমরা অবহিত করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পানি সরিয়ে নেওয়া ও এলোমেলো স্টলগুলো দেখভাল করা প্রায় শেষ করে এনেছি। তিনটায় মেলায় প্রবেশ করা যাবে।’