অনলাইন নির্ভর ব্যবসা কার্যক্রমকে ই-কমার্স হিসেবে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কর ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা এবং আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ০.১ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই ক্যাব)।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেট পর্যালোচনাসহ ই-কমার্স খাতের জন্য বাজেট প্রস্তাবনা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ই-ক্যাবের নেতারা।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ‘ই-কমার্সকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে সরকার আগামী বাজেটেও যেন কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখেন। এক্ষেত্রে জনগণ যেন অনলাইনমুখী হতে পারেন এবং অনলাইনে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সেজন্য বাস্তবে দোকান থাকলেও কোনও প্রতিষ্ঠানের যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে থাকে তবে তাদেরকেও যেন কর অবকাশ সুবিধার অধীনে নিয়ে আসা হয়।’
তিনি বলেন, গেজেটে বাংলাদেশি কোম্পানি ও বিদেশি কোম্পানি সমতাভিত্তিক মালিকানার ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। এটি করলে দেশের ই-কমার্সকে অন্যান্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে ই ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বাজেটের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
ই-ক্যাবের প্রস্তাবনা গুলো হল: ই-কমার্সের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ই-কমার্স ডেলিভারি সার্ভিস, পেমেন্ট সার্ভিস, ক্রস বর্ডার ই কমার্স, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা, গ্রাম পর্যায়ে ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দেওয়া, ভোক্তা অধিকার, পণ্যের মান ও প্রতিযোগিতামূলক দাম নিয়ন্ত্রণ,অনলাইন ও ওয়েব সুরক্ষা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ই ক্যাবের পরিচালক নাসিমা আক্তার নিশা, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হক প্রমুখ।