হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের লে-আউট প্ল্যান (নকশা) বহির্ভূত রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে লে-আউট প্ল্যান বহির্ভূত কোনও স্থাপনা করা না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদীদের প্রতি কেন আদেশ দেওয়া হবে না, একটি রুলে তা জানতে চেয়েছেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান, হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের পরিচালকসহ সংশ্লিস্ট সাতজন বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাতিরঝিল বেগুনবাড়ি প্রকল্পের নকশাবহির্ভূত স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নকশা বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাতিরঝিলের নকশা বহির্ভূত কিছু প্রতিষ্ঠানের মালিক আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। ওই আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর স্থাপনা অপসারণের আদেশের ওপর স্থিতিবস্থা (স্ট্যাটাসকো) জারি করেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের জারি করা রুল দু’মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আপিল বিভাগ নকশাবহির্ভূত স্থাপনা উচ্ছেদের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করে রুল নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছিলেন। এখন রুল নিষ্পত্তির শুনানি হবে। কিন্তু রুলে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার বিষয়টি ছিল না। তাই এক সম্পূরক আবেদনে হাতিরঝিলের নকশা বহির্ভূত স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় আজ হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।’