X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

চকবাজারের আগুনে নিহত বৃষ্টির মরদেহ শনাক্ত

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ মার্চ ২০১৯, ১৮:৩৪আপডেট : ০৬ মার্চ ২০১৯, ১৯:০৪

 

 

দুই বান্ধবী বৃষ্টি (বামে) ও দোলা ছিলেন হরিহর আত্মা। চকবাজারের আগুনের সময় ওই রাস্তার সামনে রিকশায় বসা অবস্থাতেই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। ডিএনএ টেস্টে বৃষ্টির মরদেহ শনাক্ত হয়েছে আজ। (ছবি: সংগৃহীত)

চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ দুই বান্ধবীর মধ্যে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা বৃষ্টির মরদেহ শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বুধবার (৬ মার্চ) সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি রেজাউল হায়দার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এসময় আরও ১০ জনের মরদেহ শনাক্ত করার তথ্য জানান তিনি।

এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, চকবাজারের ওই অগ্নিকাণ্ডের সময় ওয়াহেদ ম্যানশন ভবনের সামনের রাস্তাতেই রিকশায় বসা ছিলেন দুই বান্ধবী বৃষ্টি ও দোলা। যানজটে আটকে পড়েছিলেন তারা। আগুন হুট করে ছড়িয়ে পড়ায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে করুণ পরিণতি ঘটে তাদের। অপরজন দোলার ভাগ্যেও একই পরিণতি ঘটেছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারা যে ওইসময় ওই পথ দিয়ে রিকশায় চড়ে যাচ্ছিলেন তা ঘটনার কয়েক মিনিট আগে পাশের একটি ভবনের সড়কের দিকে মুখ করা ভিডিও ক্যামেরার ফুটেজ থেকে পুলিশের সহায়তায় আগেই দেখেছিলেন তার স্বজনরা।

বৃষ্টিসহ ১১ জনের মরদেহ শনাক্ত করার বিষয়টি বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি রেজাউল হায়দার। রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজদের মধ্যে ১১ জনের মরদেহ শনাক্তের পর বিকেলে তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বজনরা ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে মরদেহগুলো গ্রহণ করছেন।

বৃষ্টির ছবি নিয়ে এভাবেই খোঁজাখুঁজি করেন তার স্বজনরা (ফাইল ছবি)

বৃষ্টির মরদেহ নেওয়ার জন্য মর্গে এসেছেন বৃষ্টির বাবা- মা। মর্গের সামনে মেয়ের ছবি নিয়ে নীরবে কাঁদছিলেন মা শামসুন্নাহার। বাবা জসিম উদ্দিন মেয়ের লাশ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করছেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির একটি কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন বৃষ্টি ও দোলা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৃষ্টির সর্বশেষ কথা হয় রাত ১০টা ৪ মিনিটে। চকবাজারে আগুন লাগে ১০টা ৩৮ মিনিটে। এরপর থেকে বৃষ্টি ও দোলা নিখোঁজ। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় নিখোঁজ দুজনের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলের পাশেই ছিল তাদের অবস্থান। এ তথ্য জানার পর ঢামেকসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেও তাদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

কোথাও কোনও সন্ধান না পেয়ে বৃষ্টি ও দোলার পরিবার অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজদের তালিকায় তাদের নাম লেখান। শনাক্ত না হওয়া লাশগুলোর পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নিখোঁজদের পরিবারের ডিএনএ স্যাম্পল গ্রহণ করা হয়।

বুধবার (৬ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি রেজাউল হায়দার বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আগুনের ঘটনায় মোট ৬৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৯ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। সর্বশেষ ৫ মার্চ পর্যন্ত ৪৮ জন দাবিদারের আত্মীয়দের কাছ থেকে মোট ৪৮টি রেফারেন্স ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথম ধাপে সেগুলোর সঙ্গে ৪৮ জন দাবিদারের ডিএনএ প্রোফাইল মেলানো হলে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ২৩ জনের সঙ্গে ১১টি মরদেহের নমুনা মিলে যায়। বাকি চারজনের পরিচয় নির্ণয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে পাঁচটি অজ্ঞাত মৃতদেহের হাড় থেকে ডিএনএ পরীক্ষার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি দুই সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

 

/আরজে/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি
পদ্মশ্রী পাওয়া শিল্পী এখন দিনমজুর!
পদ্মশ্রী পাওয়া শিল্পী এখন দিনমজুর!
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়