X
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
৩১ বৈশাখ ১৪৩২

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ময়মনসিংহের পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১০ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৬আপডেট : ১০ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৮

আব্দুল কুদ্দুস, জনাব আল ও কিতাব আলী ফকির

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন— ময়মনসিংহের ধোবাউড়া পশ্চিম বালীগাঁও গ্রামের মো. কিতাব আলী ফকির (৮৫), মো. জনাব আলী (৬৮) এবং মো. আ. কুদ্দুছ (৬২)। মামলার অন্য দুই পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।

রবিবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৪০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. হান্নান খান।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও দেশান্তরিত হতে বাধ্য করাসহ  দু’টি অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

২০১৮ সালের ৬ আগস্ট শুরুর পর গত ৭ মার্চ এ মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়। তদন্তে মোট ৪০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযযোগ দুটি হলো— ১. ১৯৭১ সালের ৩০ মে আসামিরা ময়মনসিংহের বর্তমান ধোবাউড়া থানার বালিগাঁও গ্রামে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী হিসেবে হাতেম আলী ওরফে গেন্দাকে আটকের  জন্য তার বাড়িতে হামলা করে। এসময়  হাতেম আলীকে তার বাড়ির উঠানে   অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। তার দুই স্ত্রী তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে হাতেম আলীসহ তাদের তিন জনকে একসঙ্গে গাছে বেঁধে রেখে তাদের বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। পরে তাদের তিন জনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে আসামিরা চলে যায়। পরে ভারতের শিববাড়ী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধারা সংবাদ পেয়ে উদ্ধার করেন।   হাতেম আলী পরে তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভারতে চলে যান। আসামিরা এ সংবাদ জানতে পেরে হাতেম আলীর ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়।

২. ১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আসামিরা সশস্ত্র রাজাকর ও পাকিস্তান দখরদার বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও সহযোগিতা প্রদানকারী হিসেবে পরিচিত তারাইকান্দি গ্রামের শহীদ নূর মোহাম্মদ হোসেন আকন্দের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা নূর মোহাম্মদ ও তার দুই স্ত্রীকে হত্যা এবং নাতি-বউকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এরপর একই গ্রামের মো. ইছহাক আলী, মো. জমসেদ আলী (গুনা), মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. আব্দুল হেকিমসহ ওই গ্রামের পাশের এলাকার মো. সিরাজ আলী, মো. হাইদার আলী, মো. আব্দুল লতিফ, মো. মীর কাশেম, মো. রমজান আলীসহ অজ্ঞাত আরও  ২৮ জন সহ মোট ৪১ জনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ৪৫ জনকে হত্যা করে।

এরপর একই হামলার ধারাবাহিকতায় তারাইকান্দি গ্রামের মাহমুদ হোসেন আকন্দ ও মিয়া হোসেন আকন্দের বাড়িতে হামলা, লুটসহ ২২টি টিনের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে।

/বিআই/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপ, হাসনাত বললেন ‘প্রত‍্যাশিত নয়’
উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপ, হাসনাত বললেন ‘প্রত‍্যাশিত নয়’
৯ মাসে বৈদেশিক সহায়তা এলো কতটুকু
৯ মাসে বৈদেশিক সহায়তা এলো কতটুকু
দেশীয় অস্ত্রসহ ‘লও ঠেলা’ গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেফতার
দেশীয় অস্ত্রসহ ‘লও ঠেলা’ গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেফতার
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি
সর্বাধিক পঠিত
সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য ধরার পরামর্শ
সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য ধরার পরামর্শ
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ
‘পুলসিরাত’ ইসলামিক নাম, তাই পরিবর্তনের নির্দেশ
‘পুলসিরাত’ ইসলামিক নাম, তাই পরিবর্তনের নির্দেশ
পূজা উদযাপন পরিষদের দুই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
পূজা উদযাপন পরিষদের দুই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
আরও ১৬ ভারতীয়কে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে বিএসএফ
আরও ১৬ ভারতীয়কে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে বিএসএফ