X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘জানালার গ্লাস না ভাঙলে হয়তো অক্সিজেনের অভাবে মারাই যেতাম’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ মার্চ ২০১৯, ১৪:০৮আপডেট : ২৯ মার্চ ২০১৯, ১৪:১২

বার্ন ইউনিটে আবু হোসেন ‘আমরা ১৩ তলায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আটকে ছিলাম। আমার অফিস ছিল ১২ তলায় ডার্ড গ্রুপে। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে আগুনের খবর পাই। কিন্তু তখন কোনও এলার্ম বাজেনি। ফায়ার এলার্ম আগে থেকেই নষ্ট ছিল। ১৩ তলায় ধোঁয়ার কারণে আমাদের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো। তখন আমরা চেয়ার দিয়ে জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলি। বেঁচে থাকার জন্য সামান্যতম অক্সিজেনটুকু তখন পাচ্ছিলাম। ওই গ্লাস না ভাঙতে পারলে হয়তো আমরা অক্সিজেনের অভাবে সেখানেই মারা যেতাম। আর এরপরেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আমাদের উদ্ধার করেন।’
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন বনানীর অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আবু হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় চারটার দিকে আমি এফ আর টাওয়ার থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই। তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে সুস্থ আছেন তিনি। এ কারণে শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তিনি ছাড়পত্র পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। তিনি বসবাস করেন মুগদা এলাকায়।
আবু হোসেন বলেন, ‘শেষ সময় ১২ তলা থেকে ১৩ তলায় যাওয়ার পর প্রচণ্ড তাপ ও ধোঁয়া ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম তাই সেখান থেকে আর এগোতে পারছিলাম না। আমাদের মধ্যে অনেকেই ওপরে ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন ছাদের গেট তালাবদ্ধ। তাই তারা আবার নেমে আসেন। পরে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে উদ্ধারকর্মীরা নেমে ছাদের গেট ভেঙে আমাদের উদ্ধার করে। আমরা কয়েকজন ওই জানালার গ্লাস ভেঙে অক্সিজেন পাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় নেমে আসি। ওই গ্লাস না ভাঙতে পারলে হয়তো আমরা অক্সিজেনের অভাবে সেখানেই মারা যেতাম। আমাদের অন্য সহকর্মীরা এখন সুস্থ আছেন। তাদের বেশির ভাগই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
বনানী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন তৌকির হোসেন নামে একজন। তার সহধর্মিণী শাহীন হাসনাত কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘দুপুর আড়াইটার দিকে তৌকির ফায়ার সার্ভিসের ক্রেনের মাধ্যমে নিচে নেমে আসে। চিকিৎসকরা অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন। এখন শ্বাসকষ্টে সমস্যা রয়েছে। আপনারা তৌকিরের জন্য দোয়া করবেন।’
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, এই মুহূর্তে ঢামেকে অবজারভেশন রুমে আছেন- আব্দুস সবুর খান, সাব্বির, তৌকির আহমেদ ও অনুপম দেবনাথ। আইসিইউতে আছেন রেজওয়ানুল ইসলাম নামে একজন। এছাড়া সকালে ছাড়পত্র পেয়েছেন রেজাউর রহমান নামে আরেকজন।

আরও পড়ুন: এফ আর টাওয়ারে নিহত যারা

 

/টিওয়াই/ওআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের পাঠদানও বন্ধ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের পাঠদানও বন্ধ
রুশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের হামলা, ৫০টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি মস্কোর
রুশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের হামলা, ৫০টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি মস্কোর
বিয়েবাড়ির খাসির মাংস খেয়ে ১৬ জন হাসপাতালে
বিয়েবাড়ির খাসির মাংস খেয়ে ১৬ জন হাসপাতালে
সরকারি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে চাকরি
সরকারি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে চাকরি
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি