রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় ভিকটিম আদালতে হাজিরা দিলেও তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি। আসামিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী অসুস্থ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন অন্য আইনজীবী। এরপর বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে ৬ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এক ভিকটিমের মা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৬ দিন আদালতে এসে মাত্র মাত্র তিনদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ১০-১২ বার আদালতে আসতে হয়েছে। আমি উত্তরবঙ্গে একটি জেলার কলেজে শিক্ষকতা করি। ওইখান থেকে হাজিরা দিতে আসতে হয়। এত দূর থেকেতো আসতে কষ্ট হয়। তাছাড়া আমার মেয়েও চাকরি করে।’
সোমবার (৬ মার্চ) মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাদেম উল কায়েশ নতুন দিন ধার্য করেন।
গত ২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন। ওই বছরের ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অভিযোগপত্রে, আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।
অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করে।