ডিমেনশিয়া রোগ সম্পর্কে বাংলাদেশে এখনও জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। ফলে, এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বেশ কঠিন। হাসপাতাল সব সমস্যার সমাধান করতে পারে না; সুস্থতার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ‘ডিমেনশিয়া: যত্ন, ভালবাসা ও আশা’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।
ডিমেনশিয়া রোগ সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পিকেএসএফ, বাংলাদেশ ডিমেনশিয়া ফ্রেন্ডস্ কমিটি, বাংলাদেশ মেডিক্যাল স্টুডেন্টস্ সোসাইটি এবং আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে পিকেএসএফ ভবনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে বক্তারা জানান, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৬০ হাজার। ২০৩০ সালে এমন রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৩৪ হাজার এবং ২০৫০ সালে ২১ লাখ ৯৩ হাজার হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ডিমনেশিয়া ‘আরোগ্য-অযোগ্য’ একটি রোগ যার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা। মানুষকে কেন্দ্র করে পিকেএসএফ-এর কার্যক্রম বিন্যস্ত এবং সেই আলোকে ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কাজ করছে পিকেএসএফ। ডিমেনশিয়াবান্ধব সমাজ গড়তে পিকেএসএফ-এর প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিম বলেন, এদেশের সমাজে ডিমেনশিয়া রোগীরা অবহেলিত, যার মূলে রয়েছে সচেতনতার অভাব।
প্রবীণদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবীণ স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগ সম্পর্কে প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সেমিনারে সূচনা বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জসীম উদ্দিন, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর সভাপতি ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক।