রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী আশরাফ আলীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আলমগীর হোসেন নামে এক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৯ মে ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজের বিচারক রবিউল আলম সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী এ দিন ধার্য করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন, নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই আল- আমিন ওরফে জনি।
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক মো. আলী হোসেন ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/১ বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে (‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থী) গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আদা, রসুন ও পেঁয়াজ আমদানিকারক।
ওই ঘটনায় পরের দিন ২ নভেম্বর নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা ও মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।