নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বকশিশ না পেয়ে সড়কে ডিম ফেলে দিয়ে নষ্ট করার অভিযোগে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ছয় সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বগুড়া রিজিওন হাইওয়ে পুলিশের এসপি শহীদ উল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হাইওয়ে পুলিশের এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত তদন্তের স্বার্থে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের হাইওয়ে বগুড়া রিজিওন সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোরে একটি পিকআপ ৩৫ হাজার ১০০ ডিম নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থেকে নাটোরে যাচ্ছিল।পথে বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান সুতিরপাড় এলাকায় পিকআপটির চাকা পাংচার হয়ে যায়। খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। পিকআপটি উদ্ধারের জন্য রেকার ভাড়াসহ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। তবে চালক এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পুলিশ সদস্যরা পিকআপে ডিমের খাঁচা বাঁধার রশি চাকু দিয়ে কেটে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ডিমের খাঁচা রাস্তায় পড়ে সব ডিম ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়। ডিমের মালিকের নাম বিপ্লব কুমার সাহা। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে।