তিন দেশে ১২ দিনের সফরে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ফ্লাইটে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রাহক সেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আতিক সোবহানের যাওয়ার কথা ছিল। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, ভিভিআইপি ফ্লাইটের এসওপি (স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রোসিডিউর) অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে সফরসঙ্গী হন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তবে কোনও কারণে তিনি নিজে যেতে না পারলে তার মনোনীত প্রতিনিধিকে ভিভিআইপি ফ্লাইটে পাঠানো হয়। সাধারণত পরিচালক পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা প্রতিনিধি মনোনীত হন।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে জাপানের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে গ্রাহক সেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আতিক সোবহানকে(আইডি নম্বর পি-৩১৭২৬) নিজের প্রতিনিধি মনোনীত করেন বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ক্যাপ্টেন ফারহাত হোসেন জামিল। তবে মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিমান কর্তৃপক্ষকে আতিক সোবহানকে ভিভিআইপি ফ্লাইটে না পাঠানোর নির্দেশনা দেয়। নিরাপত্তাবাহিনীর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আতিক সোবহানকে বিমানবন্দর না আসার নির্দেশনা দেয় বিমান কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভিভিআইপি মুভমেন্টে আতিক সোবহানের প্রবেশের বিষয়ে আগেও আপত্তি ছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। প্রধানমন্ত্রীর বিমানবন্দর ব্যবহারের সময় তাকে সে স্থানে অবস্থান না করতেও বিমান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে প্রবেশের নিরাপত্তা ছাড়পত্র পেতেন না আতিক সোবহান।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার ফ্লাইট থেকে ক্যাপ্টেন ফারহাত জামিলকে নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রীকে লন্ডন থেকে আনার জন্য যাওয়া বিমানের ফ্লাইটে উঠলেও তাকে অফলোড করা হয়।
এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে বিমানের দায়িত্বশীল কোনও কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আজ (মঙ্গলবার) নিরাপত্তাজনিত কারণে আতিক সোবহানকে বিমানবন্দরে আসতে মানা করা হয়।
বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ক্যাপ্টেন ফারহাত হোসেন জামিলকে একাধিকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি প্রশ্ন লিখে মেসেজ করা হলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।