X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুলাভাই ‘বাসায় আসায়’ স্ত্রীকে হত্যা!

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ জুন ২০১৯, ০০:৩৯আপডেট : ১২ জুন ২০১৯, ০১:৪০

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার বেলাল



আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক সম্পা বেগমকে (৩০) হত্যার চার মাস পর এর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আত্মহত্যা বলে প্রচার করলেও পিবিআই নিশ্চিত হয়েছে সম্পাকে হত্যা করেছে তার স্বামী বেলাল মিয়া (৩৫)। মঙ্গলবার (১১ জুন) ভোরে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরের মনোহরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বেলাল জানিয়েছে, সম্পার বড়বোনের স্বামী (দুলাভাই) তাদের বাসায় আসায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে স্ত্রীকে হত্যা করে।



গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার দুর্গাপুর উত্তরপাড়া সুলতান ভান্ডারীর বাড়ি থেকে সম্পার লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এই বাড়িতে সম্পা ও তার স্বামী বেলাল মিয়া ভাড়া থাকতো। এ ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি সম্পার বাবা সাইদুল মন্ডল আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তবে শুরু থেকেই মামলাটি প্রথমে আশুলিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করে। এরপর ১২ মার্চ ঢাকা জেলা পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে বেলাল মিয়া শুরু থেকেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। পরে সম্পার পরিবারও ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে বিশ্বাস করেন। তাই তারা আর হত্যা মামলাটি চালাতে চাননি।

তবে মামলাটি ঢাকা জেলা পিবিআইতে আসার পর এটি তদন্তের দায়িত্ব পান উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান। তিনি তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হন এটি হত্যাকাণ্ড। এরপর তার নেতৃত্বে ১১ জুন ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরের মনোহরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বেলালকে।

বেলাল মিয়াকে গ্রেফতারের পর ঢাকায় নিয়ে আসে পিবিআই। এরপর পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সম্পাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে।

বেলাল জানায়, সম্পা ছিল তার খালাতো বোন। পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। ঢাকার আশুলিয়ার ওই বাসায় তারা দেড় বছর ধরে থাকতো। সম্পা একটি পোশাক কারখানায় এবং বেলাল মিয়া একটি ব্যাগ তৈরির কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। তাদের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে তামান্না গ্রামের বাড়ি থাকতো।

পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে সম্পার বড়বোনের স্বামী মিরাজ তাদের আশুলিয়ার বাসায় এসেছিলেন। বেলাল বাসায় এসে মিরাজকে দেখতে পান। উনি চলে যাওয়ার পর তার আসার কারণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সম্পার ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বেলাল। এরপর আত্মীয় স্বজনকে ফোন দিয়ে সে জানায় সম্পা গলায় ফাঁস দিয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় নিহত সম্পার বাবা হত্যা মামলাটি আর চালাতে রাজি নন। তাদের কথা, বেলালের সঙ্গে সম্পার পরিবারের মীমাংসা হয়েছে। ছোট্ট তামান্নার নামে দশ শতাংশ জমি লিখে দেওয়া হয়েছে। 
এসআই সালেহ ইমরান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই এটিতে আত্মহত্যা বলে আসছে বেলাল। সম্পার পরিবারও এখন আত্মহত্যা বলে বিশ্বাস করছে। তবে আসামি গ্রেফতারের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’

 

/এআরআর/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা সিইসির
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা সিইসির
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার
বিতর্কের মুখে গাজায় ইসরায়েলি কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছেন মালালা
বিতর্কের মুখে গাজায় ইসরায়েলি কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছেন মালালা
‘পাতানো ম্যাচ’ নয়, মাঠে খেলেই এগিয়ে যেতে চায় স্বাধীনতা
‘পাতানো ম্যাচ’ নয়, মাঠে খেলেই এগিয়ে যেতে চায় স্বাধীনতা
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না