X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসএমএমইউ ভিসির পদত্যাগ দাবি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ জুন ২০১৯, ১৩:০৮আপডেট : ১৬ জুন ২০১৯, ১৩:৩২

লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের মানববন্ধন

নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার পদত্যাগের দাবি করেছেন মেডিক্যাল অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে বিএসএমএমইউ'র প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এই দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন ভিসির জবাব চাই’, ‘দুর্নীতি নিপাত যাক বিএসএমএমইউ মুক্তি পাক’, ‘চোরাই নীতি বন্ধ করো স্বচ্ছতা কায়েম করো’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক চিকিৎসকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে’, ‘দাবি মোদের একটাই, ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘পিতার নামের বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই নাই’, ‘গুলি খাবো, কিন্তু পিতার নামে বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্কিত হতে দেবো না’ স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেডিক্যাল অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষায় যে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি হয়েছে, তা আমরা আগেই তুলে ধরেছি। কিন্তু আমাদের অভিযোগ নাকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অযৌক্তিক মনে হয়। অনিয়মের অভিযোগ নাকি ভিত্তিহীন। আমরা অবিলম্বে এই ভিসির পদত্যাগ চাই। এই পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিকিৎসকদের নামে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিক্যাল অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা প্রায় এক মাস ধরে পরীক্ষা বাতিল ও পুনঃনিরীক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলার দ্বিতীয় দিনে তা আপাতত স্থগিত করার কথা জানিয়েছিলেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য। এরপর ১৩ জুন সিন্ডিকেটের সভা শেষে উপাচার্য জানান—পরীক্ষা বাতিল করার সুযোগ নেই, অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা নেই। ২০০ মেডিক্যাল অফিসারের পদে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৮০ জন এমবিবিএস ও ২০ জন বিডিএস চিকিৎসক চাওয়া হয়। প্রথম দফায় নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেটি পিছিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্রও ছাপানো হয়। কিন্তু অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হওয়ার দেড় বছর পর গত ২২ মার্চ সেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন চিকিৎসকদের একাংশ।   

/এসও/এপিএইচ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুজিবনগর দিবস পালনের নির্দেশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই ধাপে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালনের নির্দেশ
টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি নিলে ব্যবস্থা
সর্বশেষ খবর
নড়াইলে ‘সুলতান মেলা’ উপলক্ষে আর্ট ক্যাম্প
নড়াইলে ‘সুলতান মেলা’ উপলক্ষে আর্ট ক্যাম্প
লোকসভা নির্বাচন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী
লোকসভা নির্বাচন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্মরণে কাল নাগরিক সভা
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্মরণে কাল নাগরিক সভা
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!