X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমার বিধান আছে, বাস্তবায়ন নেই: টিআইবি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৩ জুন ২০১৯, ১৯:০৬আপডেট : ২৩ জুন ২০১৯, ১৯:০৯

টিআইবির সংবাদ সম্মেলন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় ও পরবর্তী সময়ে পাঁচ বছর পর পর সম্পত্তির  হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব দেওয়ার কথা আইনে বলা আছে। আইনে এভাবে নিয়মিত সম্পদ বিবরণী দেওয়ার কথা থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই। রবিবার (২৩ জুন) টিআইবির মেঘমালা সম্মেলন কক্ষে ‘জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার: নীতি এবং চর্চা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণ নেওয়া হয়নি বা দেননি। ২০০৮ সালে সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয় এবং অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তখন জনপ্রশাসন সচিবালয়ে সম্পদের বিবরণী জমা দেন। ২০১০ সাল থেকে নিয়োগ পাওয়া সরকারি কর্মকর্তারা শুধুমাত্র চাকরিতে যোগদানের সময় নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রতি পাঁচ বছর পর পর ডিসেম্বর মাসে সম্পত্তির হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব দেওয়ার কোনও চর্চা নেই।

সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ১৭ হাজারেরও বেশি কর্মচারীর (তৃতীয় ও চতুর্থ) সম্পদের হিসাব নেয়। তবে এ সময় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা সম্পদের হিসাব দেননি বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ অনুযায়ী, আবেদনের মাধ্যমে সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া ব্যবসা বা আবাসিক ব্যবহারের অভিপ্রায়ে নিজে বা ডেভেলপারের দ্বারা কোনও ভবন বা ফ্ল্যাট নির্মাণ বা ক্রয় করা যাবে না। কিন্তু গবেষণায় উঠে এসেছে, সরকারের পূর্বানুমোদন না নিয়ে কর্মকর্তাদের একাংশ বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কিনেছেন। এবং এসব সম্পত্তি স্ত্রী ও সন্তানদের নামে কেনার প্রবণতা রয়েছে।

এই আইন বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে টিআইবি। তারা গবেষণায় বলেছে, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর  সম্পদের হিসাব দেওয়ার কার্যক্রমটি যে দীর্ঘদিন চলমান নেই, তা তদারকির প্রক্রিয়াও অনুপস্থিত। ১৯৭৯ সালে প্রণয়ন হওয়া আইন কতটা সময়োপযোগী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ আইন প্রণীত হওয়ার পর ছয়টি পে-কমিশন হয়। সর্বশেষ পে-কমিশনে বেতন শতভাগ বাড়ানো হয়েছে। বিধিমালায় ঘোষিত সম্পদের যে ন্যূনতম মূল্য ধরা হয়েছে,তা বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা আলোচনার বিষয়। বেশিরভাগ কর্মরত সরকারি কর্মকর্তার মতে,তারা যেহেতু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আয়কর দেওয়ার সময় সম্পদের বিবরণী দিয়ে থাকেন, ফলে তাদের জন্য প্রতি বছর অন্য কোনও কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদের বিবরণী প্রদান প্রযোজ্য নয়। আবার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সবাই আয়কর দেওয়ার উপযুক্ত নন। তবে এনবিআরে দাখিল করা তথ্য জানার অধিকার অন্য কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানের নেই বলে,তারাও সেটা জানতে পারছেন না।

গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রণয়ন ও উপস্থাপন করেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মহুয়া রউফ। অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, মহাসচিব প্রফেসর পারভিন হাসান, উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুমাইয়া খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

/আরজে/আইএ/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!