নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ‘জাতীয় বাজেট ও নগরের বস্তিবাসী নিম্ন আয়ের মানুষের ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঐক্যন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষেরাই নিজেদের রক্ত দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছি। দেশের বাজেটে আমাদের চাহিদার প্রতিফলন থাকতে হবে। কিন্তু গরিব, মেহনতি ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কোনও বাজেট হয় না। বাজেট হয় কালো টাকার মালিক, হারামখোর আর ধনীদের স্বার্থে। সংবিধান থেকে শুরু করে নির্বাচনি ইশতেহার সর্বত্র গরিব-মেহনতি মানুষের উন্নয়নের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও শহরের বস্তিবাসী নিম্ন আয়ের মানুষেরা অধিকারবঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। বস্তিবাসীদের আবাসন, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতের জন্য জাতীয় বাজেটে নির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখতে হবে। প্রতিজন বস্তিবাসীর জন্য সরকারিভাবে ১০ টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও পরিচয় কার্ড দিতে হবে।’
সভাপ্রধানের বক্তব্যে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সব উন্নয়ন উদ্যোগ একইভাবে সবার কাজে লাগছে না। শহর ও গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষেরা সবচেয়ে অবহেলিত। তাই তাদের জন্য পৃথক উন্নয়ন উদ্যোগ প্রয়োজন। বিশেষ করে তাদের বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্যোগ প্রয়োজন।’ সব বস্তিবাসীদের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ ও ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার উদ্যোগের দাবি জানান।
বৈঠকে অন্য বক্তারা বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি হলে মাথাপিছু গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৭৭৬ টাকা। কিন্তু এই বাজেটে নগরের দারিদ্র্য মানুষের কথা কোথাও সুস্পষ্টভাবে স্থান পায়নি।
পবা চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন– নগর দারিদ্র্য বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর আলম, গবেষক পাভেল পার্থ, বারসিক প্রতিনিধি সুদিপ্তা কর্মকার, নৃবিজ্ঞানী সৈয়দ আলী বিশ্বাস, বস্তিবাসী ইউনিয়নের নেতা কুলসুম বেগম ও রাফেসা বেগম। গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন পবার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল।