পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন।
গতকাল সোমবার (২৪ জুন) ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)। আজ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন—এমন অভিযোগের পক্ষে ঘুষ লেনদেনের অডিও কথোপকথন প্রকাশের পর সম্প্রতি আলোচনায় আসেন ডিআইজি মিজান। এ ঘটনার পরপরই বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘুষ কেলেঙ্কারি খতিয়ে দেখতে মিজান ও বাছিরকে আগামী ১ জুলাই দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আছে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে প্রভাব খাটিয়ে গ্রেফতার এবং এক সংবাদপাঠিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগও আছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া পুলিশের নিয়োগ, বদলিতেও একসময় ভূমিকা রাখতেন তিনি। গ্রেফতার ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে টাকা আদায়ের অভিযোগও আছে মিজানের বিরুদ্ধে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন ডিআইজি মিজান। সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনারও ছিলেন তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন। পরে সেখান থেকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।