ভাষা সৈনিক ও বিচারপতি মোহাম্মদ আনসার আলীর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার (৫ জুলাই)। এ উপলক্ষ্যে ঢাকার বনানীতে তার কবরস্থান প্রাঙ্গনে এবং নওগাঁর গ্রামের বাড়িতে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, কোরানখানি ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মো. সাইফুর রহমানের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিচারপতি মোহাম্মদ আনসার আলী ১৯৬২ সালে ঢাকা হাইকোর্টে এবং তদানীন্তন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন। ভাষা আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০১ সালে মরণোত্তর ‘মাতৃভাষা পদক’ পান। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামেও তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সিনিয়ন সহসভাপতি, তৎকালীন রংপুর হাইকোর্ট বারের দুই বার নির্বাচিত সভাপতি এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সোসাইটির সহসভাপতি ছিলেন। বহু রায়ের মধ্যে বিচারপতি হিসেবে তার দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও প্রতিভার স্বাক্ষর মেলে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সারাজীবন কাজ করে গেছেন।
মরহুমের কনিষ্ঠ পুত্র বিচারপতি আহমেদ সোহেল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বড় ছেলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ রফি সেনাবাহিনীর চিকিৎসক এবং মেজ ছেলে আহমেদ রেজা বেলজিয়ামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত আছেন।