X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

চার বছর পর সেই শামীম কবির গ্রেফতার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ জুলাই ২০১৯, ১৬:২৮আপডেট : ১৬ জুলাই ২০১৯, ১৬:২৯

শামিম কবির

মানিলন্ডারিংসহ ২৮টি মামলার পলাতক আসামি ও ফার ইস্ট ইসলামি মাল্টি কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (এফআইসিএল) চেয়ারম্যান শামীম কবিরকে চার বছর পর গ্রেফতার করেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ফার ইস্ট ইসলামি মাল্টি কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামীম কবির মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে তা আর ফেরত দেয়নি। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ ২৮টি মামলা রয়েছে। সে চার বছর ধরে পলাতক ছিল। ৯ জুলাই সিলেটের জৈন্তাপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, ফারইস্ট ইসলামি মাল্টি কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ২০০৬ সালে কুমিল্লার জেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নেয়। অনুমোদনের পর শামীম কবির ও তার নিকট আত্মীয়সহ স্থানীয় কিছু যুবককে নিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট বাজারে একটি অফিস খুলে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে সংস্থাটি মুন্সিরহাট অফিসের নিবন্ধন সংশোধন করে থানা থেকে জেলা পর্যায়ে এবং আরও পরে চট্টগ্রাম বিভাগের অনুমোদন নিয়ে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন জায়গায় শাখা অফিসের অনুমোদন নেয়। সে ইসলাম ধর্মকে পুঁজি করে স্থানীয়দের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ শুরু করে। একলাখ টাকা বিনিয়োগ করলে মাসে দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা ঘোষণা দেয়। বেশি মুনাফার আশায় কেউ কেউ টাকা ধার এনে, জমি-জমা বিক্রি করে এই সমিতিতে টাকা রাখতেন। কোনও কোনও সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী পেনশনের টাকা বাসায় না নিয়ে দ্বিগুন-তিনগুন করার জন্য ফারইস্ট ইসলামি মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে জমা রাখেন। বিভিন্ন রকম ছলচাতুরী করে এই শামীম কবির ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ করে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে প্রায় ২৫টি অফিস খুলে আমানত সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রাখে।

সিআইডি জানায়, শামীম কবিরসহ মামলার অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকের ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাত করে। ২০১৩-১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়ে সে কৌশলে আত্মগোপন করে এবং প্রচার করতে থাকে যে, এফআসিএল-এর চেয়ারম্যান মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। সিআইডিকে  শামীম কবিরের দেওয়া তথ্য মতে, আত্মসাত করা বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে তার নিজ গ্রাম ও সিলেটের জৈন্তাপুর থানা এলাকায় প্রাসাদসম বাড়ি, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, গাজীপুরের কালিগঞ্জ, কক্সবাজার জেলার উখিয়া, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডুসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্লট, ফ্লাটসহ সম্পদ অর্জন করে। ২০১৫ সালে দুদক তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করে। বর্তমানে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে।

/এআরআর/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তাইওয়ানে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
তাইওয়ানে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
নারীবান্ধব টয়লেট সুবিধা পান না ৯৩ শতাংশ নারী
জরিপের তথ্যনারীবান্ধব টয়লেট সুবিধা পান না ৯৩ শতাংশ নারী
সিলেট নগরীতে অপরাধী শনাক্তে ১১০ সিসি ক্যামেরা
সিলেট নগরীতে অপরাধী শনাক্তে ১১০ সিসি ক্যামেরা
সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির পণ্য
সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির পণ্য
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা