X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাশ্চাত্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ভীষণ ফোকাস পায়: অধ্যাপক সুমন রহমান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ জুলাই ২০১৯, ১৮:২১আপডেট : ১৬ জুলাই ২০১৯, ১৮:২৭

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক সুমন রহমান

শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই মাঝে-মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটে। কিন্তু, পাশ্চাত্যে এসব ঘটনা এতো বেশি ফোকাস পায় যে মানুষ ভয়েই আর কিছু করে না। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে বাংলা ট্রিবিউন আয়োজিত বৈঠকিতে অংশ নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সুমন রহমান এ মন্তব্য করেছেন।

আজকের বৈঠকির শিরোনাম  ‘নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’।

রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এই বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে দেখা যাচ্ছে এই আয়োজন।

অধ্যাপক সুমন রহমান বলেন, আমরা আস্থার সঙ্গেই বলি যে দুই দশক আগে আমাদের পারিবারিক ব্যবস্থা অনেক বেশি নিরাপদ ছিল। নানা ঘটনায় এটা এখন অনিরাপদ হয়ে উঠছে। আর এটা যখন আমরা বলি, তখন ভাবতে থাকি যে পাশ্চাত্য দেশগুলোতেও পারিবারিক ব্যবস্থায় অনিয়ম আছে কিনা। তবে এমন অনিয়মের বিষয়টা আমি আর পাই না। তারা আমাদের থেকে আরও এককেন্দ্রিক পরিবার, তারপরেও তাদের সমাজ পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা দেয়। সেখানে এধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দুই একটা ঘটেও, সেটা এতো বেশি ফোকাস পায় যে মানুষ ভয়েই কিছু করে না।

তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয়, কোন প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে সেটা জানা খুব জরুরি। শিক্ষাঙ্গনগুলো ভেঙে পড়ছে। তার পেছনে, রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের একটা প্রভাব আছে এটা অস্বীকার করার উপায় নাই।

তিনি বলেন, যখন একটা অপরাধকে বৈধতা দেওয়া শুরু হয় যেটা আমরা ধর্ষণকে দেওয়া শুরু করেছিলাম তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

শিক্ষকদের হেনস্থা করা কিংবা ছাত্রদের অসুদপায় অবলম্বন করাকে স্নেহসুলভ বৈধতা আমরা দেই। দিতে দিতে এগুলো একধরনের বৈধকরণ হয়ে যায়। এ ধরনের মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সুমন রহমান, সহকারী অধ্যাপক নাদিয়া রহমান এবং বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম। 

ইউল্যাবের সহযোগিতায় বৈঠকিটি আয়োজিত হয়। 

 

/এসও/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
তিন লাল কার্ডের ম্যাচ নিয়ে কে কী বললেন!
তিন লাল কার্ডের ম্যাচ নিয়ে কে কী বললেন!
প্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
লোকসভা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এলো বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এলো বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া