২০০২ সালের ৫ আগস্ট তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রুবাইয়েদ আহমেদ বাপ্পী হত্যা মামলার রায় ঘোষণার ১৭ বছর পরও তা কার্যকর হয়নি। অবিলম্বে রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
শনিবার (৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে মাত্র ৮ বছরের বাপ্পীকে অপহরণের পর খুন করে তার আপন খালাতো ভাই শিপন ও তার সহযোগীরা। অপহরণের ১০ দিন পর ১৫ আগস্ট শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় বাপ্পীর মরদেহ। হত্যার চার মাসের মাথায় একই বছরের ৩০ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত-৩ পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর মধ্যে বাপ্পীর বাবা ও মা মারা গেছেন।
নিম্ন আদালতের রায়ের প্রায় ৪ বছর পর ২০০৬ সালে হাইকোর্ট দুই আসামির শিপন ও সঞ্জিতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং তিন আসামি রিপন,শংকর,বাদলের যাবজ্জীবনের রায় দেন। এরপর রিপন ও শিপনের আবেদনে আপিল বিভাগে আটকে যায় মামলাটি। ২০০৯ সালে আপিল বিভাগের রায়ে শিপনের মৃত্যুদণ্ড এবং রিপনের যাবজ্জীবন বহাল রাখা হয়। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েও ক্ষমা পায়নি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরও প্রায় ১০ বছরেও কার্যকর হয়নি রায়।
অবিলম্বে শিশু বাপ্পীর হত্যাকারীদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তারা। মানববন্ধনে বাপ্পীর তিন বোন ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।