গেজেট প্রকাশের আগেই ওয়েজবোর্ড চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে চান না বলেই নবম ওয়েজবোর্ডের প্রজ্ঞাপন প্রকাশে স্থগিতাদেশ চেয়ে মতিউর রহমান রিট দায়ের করেছেন।’ সোমবার (১৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ সংক্রান্ত এক শুনানিতে তিনি একথা বলেন।
উল্লেখ্য, মতিউর রহমান নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক।
নবম ওয়েজবোর্ডের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশে স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের ওপর এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ।
শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘সাংবাদিক ছাড়া গণমাধ্যম মালিকদের অস্তিত্ব নেই।’
তখন নোয়াবের আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘সাংবাদিকরা যদি কাজ না করেন, তাহলে সাদাকালো কাগজ বের হবে।’
এরপর আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষ করে আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আদেশের দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট নবম ওয়েজবোর্ডের প্রজ্ঞাপন প্রকাশে স্থগিতাদেশ চেয়ে নোয়াব হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৬ আগস্ট সংবাদমাধ্যমে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা নির্ধারণে গঠিত নবম ওয়েজবোর্ডের প্রজ্ঞাপন প্রকাশে দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট। ফলে এ সময়ের প্রজ্ঞাপনটি যে অবস্থায় রয়েছে সেভাবেই থাকবে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।
একইসঙ্গে অংশীজনদের (নোয়াব) আপত্তি ও সুপারিশ প্রজ্ঞাপনের বিবেচনায় না নেওয়াকে কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, শ্রম মন্ত্রণালয় সচিব ও ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যান নিজামুল হককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এসব আদেশ দেন।
পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল আবেদন করলে তা শুনানি নিয়ে আদালত আদেশের দিন নির্ধারণ করলেন।