X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা সোবহান হত্যা মামলায় ৯ আসামির যাবজ্জীবন সাজা বহাল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ আগস্ট ২০১৯, ২২:৫৫আপডেট : ২০ আগস্ট ২০১৯, ২২:৫৭

 চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামির সাজার রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আসামিদের জেল আপিল খারিজ করে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

যাবজ্জীন সাজা বহাল থাকা ৯ আসামি হলেন- আইয়ুব আলী, মো. এরশাদুর রহমান, শহীদুল ইসলাম খোকন, মো. ইলিয়াস, মো. বকতিয়ার, শামসুল ইসলাম ওরফে শামসু, আবুল হাসেম, নহরুল ইসলাম ওরফে নজু ও মো. ইব্রাহিম।

আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, মো. খুরশীদ আলম খান, ফখরুল ইসলাম, মাহবুবা হক, মো. রফিকুল ইসলাম মিয়া, তপন কুমার দে, শংকর প্রসাদ দে ও মোসাব্বির হোসেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম, মো. আশিক মোমিন ও মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মামুনুর রশিদ, মো. আব্বাস উদ্দিন, আনিসুর রহমান ও মো. কাজী ইলিয়াস উর রহমান।

এদিকে আসামিদের জেল আপিলের শুনানিকালে তারা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন। তবে হাইকোর্টের রায়ে আসামিদের সাজা বহাল থাকায় তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নিহত আবদুস সোবহানের বড় ছেলে ডা. উকিল আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমার দুই ভাইকে এসিড মারার প্রতিবাদ করায় বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তবুও দীর্ঘ ২৮ বছর পর উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমি খুশি। আশা করি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও এ রায় বহাল থাকবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সোনারগাঁও এলাকায় আইয়ুব বাহিনীর সদস্যরা আবদুস সোবহানকে অপহরণ করে স্থানীয় পাহাড়ের জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাকে বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নিহতের ছেলে বখতিয়ার আহমেদ হত্যা মামলা দায়ের করেন। একইবছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিহতের দুই ছেলে কবির আহমেদ ও সবুর আহমেদকে এসিড নিক্ষেপ করে এ মামলার আসামিরা। পরে তদন্ত শেষে ১৯৯২ সালের ৩ মার্চ পুলিশের উপপরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ এ এন এম বশির উল্লাহ ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান হত্যা মামলায় ২১ আসামির মধ্যে ১৭ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। বাকি চার জনের মধ্যে দুই জন মামলা চলাকালে মারা যান এবং অপর দুই জন খালাস পান। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ৯ আসামি হাইকোর্টে জেল আপিল করেন। তবে পলাতক থাকায় বাকি ৮ আসামি আপিল করেননি।


/বিআই/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা