সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধু নিজেই। তিনি সারা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি নিপীড়িত, বঞ্চিত, শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণেই বলেছিলেন, আজ সমগ্র বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষিত-বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষ। আমি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পক্ষে।’
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। অনু্ঠিানটির আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চর্চা কেন্দ্র।
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সাত কোটি বাঙালিকে একটি মোহনায় এনে দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি এই ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশেকে স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত’।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার জন্যই একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা শিশু রাসেলকে কেন হত্যা করেছিল? শেখ মুজিবুর রহমানের কোনও উত্তরসূরি যেন কোনোদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে যারা জড়িত ছিল, সবার মুখোশ উন্মোচনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন করা দরকার।’
আলোচনা সভায় আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মোছাব্বির এবং সভাপতি শাহ মুরাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।