সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চাওয়া রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর আগামী ১৪ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। এর ফলে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিমুল হত্যা মামলা চলতে আপাতত কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর আসামি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল আলিম জুয়েল।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিমুল হত্যা মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন আদালত।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ২৮ ডিসেম্বর শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিরাজগঞ্জ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। পরে এই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন হাবিবুল হক মিন্টুসহ অন্য আসামিরা।
বর্তমানে শিমুল হত্যা মামলা রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে অপহরণের পর মেয়র মিরুর বাড়িতে আটকে রেখে তার দুই সহোদর মারধর করেন। এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মেয়র মিরুর ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন সাংবাদিক শিমুল। পরদিন মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় মিরু ও তার সহোদর মিন্টুসহ ৪০ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী। মামলা দায়েরের তিন মাস পর ২০১৭ সালের ২ মে শাহজাদপুর আমলি আদালতে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি এই মামলাটি বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য শাহজাদপুর আমলি আদালত থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
