বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতার নাম সেলিম প্রধান। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে তাকে আটকের পর এ দাবি করেছে র্যাব-১। সেলিম বর্তমানে র্যাব হেফাজতে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সেলিম প্রধানকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের উপপরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘সেলিম প্রধান বাংলাদেশের অনলাইন ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত। ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
র্যাবের এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনলাইন ক্যাসিনোর বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান এই সেলিম। তাকে দীর্ঘদিন ধরে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। অনলাইনে ক্যাসিনোর বিষয়টি দেশে সে দেখাশোনা করে।’
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব সদস্যরা বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। সেলিম প্রধান থাই এয়ারওয়েজের বিজনেস ক্লাসের যাত্রী ছিলেন। ফ্লাইট ছাড়ার আগমুহূর্তে র্যাবের সদস্যরা তাকে আটক করে।
র্যাব সূত্র জানায়, টেন্ডারবাজি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এই সেলিম প্রধান। চারদলীয় জোট সরকারের সময় তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ঘনিষ্ঠ ছিল সেলিম প্রধান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বেশ কিছু নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশের পর পরই ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দুটিতে রদবদল আসে। এর তিন দিন পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের ক্লাব পাড়ায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। এরপর ধানমন্ডি, কলাবাগানসহ উত্তরা, গুলশান, তেজগাঁওয়ের বেশ কিছু ক্লাবে একই ধরনের অভিযান চালায় পুলিশ ও র্যাব। এসব অভিযানে ক্যাসিনো সামগ্রীসহ প্রচুর পরিমাণে মদ ও অবৈধ অর্থ উদ্ধার করা হয়। অভিযানগুলোতে যুবলীগের কয়েকজন নেতাসহ বেশ কিছু ক্লাবের সংগঠককে ক্যাসিনোতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আটক হয়েছেন অনলাইন ক্যাসিনোর বাংলাদেশ প্রধান হিসেবে অভিযুক্ত সেলিম প্রধান।
আরও পড়ুন:
থাই এয়ারের এক যাত্রীকে আটক করেছে র্যাব