বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে আবরার ফাহাদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় বুয়েটের শেরেবাংলাসহ অন্যান্য হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষবারের মতো বুয়েট ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয় আবরারের লাশ। জানাজার জন্য ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে লাশ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মসজিদে।
রাতেই মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার রায়ডাঙ্গা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আমি ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে যেন দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয় সেটি কামনা করছি।’
এদিকে, সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টার দিকে আবরারের চাচা মিজানুর রহমান আমাদের কুষ্টিয়া প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন গ্রামের বাড়ি কুমারখালীতে আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় আবরারের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হবে। তিনি জানান, মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে। লাশ রাতে পৌঁছালে সকাল ১০টায় কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা ঈদগাহ ময়দানে জানায়া শেষে দাফনের কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।