বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বুয়েটের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের বিষয়ে বিব্রত প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম ফায়েজ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. পারভেজ।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী শাহিন বাবুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একেএম ফায়েজ এই রিট দায়ের করেন।
রিটে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। এই ক্ষতিপূরণের পুরো টাকা বুয়েটকে দিতে হবে। এছাড়া রিটে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এই রিটের আদেশ হলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীদের জন্যও ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব হবে বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া, রিটে আবরার হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং আবরারের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
রিটে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। ওই দিন রাত তিনটার দিকে হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।