ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরীর দুর্নীতির মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (উত্থাপিত হয়নি মর্মে) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারিক আদালতে এ মামলা চলতে আর কোনও বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
একইসঙ্গে জাল দলিল দাখিল করে দ্য সিনফা নিটাস লিমিটেডের নামে ন্যাশানাল ব্যাংকের ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করায় এ মামলায় চীনা নাগরিকসহ পলাতক পাঁচ আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করতে বলেছেন আদালত। আসামিরা হলেন— ন্যাশনাল ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল ওদুদ খান, কোম্পানির চেয়ারম্যান চীনা নাগরিক ইয়াং ওয়াং চুং, এমডি খসরু আল রহমান, পরিচালক মনসুরুল হক ও মো. গোলাম মোস্তফা।
এছাড়া, আসামিরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য তাদের পাসপোর্ট জব্দ করতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার মো. নওশের আলী মোল্লা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দ্য সিনফা নিটাস লিমিটেড কোম্পানির নামে ভুয়া এলসি খুলে প্রতারণা ও জাল দলিল তৈরি করে ন্যাশনাল ব্যাংক দিলকুশা শাখা থেকে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সালের ১৭ জুন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরীসহ ছয় জনকে আসামি করে মতিঝিল থানার মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৪ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বিচারাধীন আছে। তবে বিচারাধীন মামলাটি বাতিল চেয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরী হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।