অনিয়মের অভিযোগে বাতিলের আন্দোলন হওয়া সেই মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০০ জনকে নিয়োগপত্র দিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিএসএমএমইউ’র শহীদ ডা. মিলন হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।
এই ২০০ জনের মধ্যে ১৮০ জন মেডিক্যাল অফিসার এবং ২০ জন ডেন্টাল সার্জন। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ ছয়টি অনিয়মের অভিযোগ এনে এই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে চাকরিপ্রত্যাশীরা আন্দোলন করেছিলেন।
২০১৭ সালের ২ অক্টোবর এই নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় গত ২২ মার্চ। ১২ মে ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৭৩৯ জন মেডিক্যাল অফিসার এবং ৮১ জন ডেন্টাল সার্জন উত্তীর্ণ হন। কিন্তু এই পরীক্ষায় ও ফল প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের স্বজনপ্রীতিসহ ছয়টি অনিয়মের অভিযোগ আনেন তারা।
এর আগে প্রথম দফায় নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেটি পিছিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের একটি দিন ঠিক করা হয়। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্রও ছাপানো হয়। তবে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা স্থগিত করে।
গত ১১ জুন মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলার দ্বিতীয় দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও অধ্যাপককে পুলিশ দিয়ে পেটানো হয়। সেদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে। পরে ১৩ জুন সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য জানান, পরীক্ষা বাতিল করার সুযোগ নেই, অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা নেই। তবে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউতে নিয়োগ স্থগিত