X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘ধূমকেতুর মতো বাঁচুন, কচ্ছপের মতো ৩০০ বছর নয়’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৩১আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৬

‘ধূমকেতুর মতো বাঁচুন, কচ্ছপের মতো ৩০০ বছর নয়’ ‘বাঁচতে হলে ধূমকেতুর মতো বাঁচতে হবে, কচ্ছপের মতো ৩০০ বছর নয়।’ ভারতের শরণার্থী শিবিরে অনাহারী জীবন কাটানো মনোরঞ্জন ব্যাপারী ঢাকা লিট ফেস্টের নবম আসরে এসে এ কথাই বললেন। দলিত সাহিত্যের এই অগ্রপথিকের জন্ম বরিশালে। তবে দেশভাগের ডামাডোলে মাত্র তিন বছর বয়সে ভারত চলে যেতে বাধ্য হন। শুরু হয় সংগ্রামী জীবনের।
সেই জীবন সংগ্রামের গল্পই বললেন তিনি ঢাকা লিট ফেস্ট-২০১৯-এর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে। কায়সার হকের সঞ্চালনায় ‘গানপাউডার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটিতে আরও ছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারীর লেখা ‘বাতাসে বারুদের গন্ধ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদক অরুণাভ সিনহা।
মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, জীবনের মানে বোঝার আগেই অন্যান্য দলিত শ্রেণির মানুষের মতো তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার; পুরো পরিবার ভারতে চলে যায়। শুরু হয় অনিশ্চিত জীবনের।
তিনি বলেন, উচ্চবর্ণের হিন্দুরা অবশ্যম্ভাবী দেশভাগের বিষয়টি আগেই বুঝে গিয়েছিল এবং তারা ভারতে গিয়ে আগেভাগেই তাদের জীবন গুছিয়ে ফেলে। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের জন্য ততদিনে সেখানে হাতছানি দিচ্ছিল এক মানবেতর জীবন এবং সরকারের চূড়ান্ত অসহযোগিতা।
মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ‘আমার মা মানুষের বাড়ি কাজ করেছেন, আমি রিকশা চালিয়েছি, বাসন মেজেছি। একপর্যায়ে জেলের জীবনও আরাধ্য মনে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন ‘যে জীবন আমার ছিল, সে জীবনে মহৎ কিছু আশা করা যায় না।’
নকশাল আন্দোলন প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, “আমি নকশাল ছিলাম না, আমাকে বানানো হয়েছিল। আমাদের বলা হতো ‘লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত’।”
মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, নকশাল করার অপরাধে তিনি জেলে যান এবং কয়েদির ‘রাইটার’ পদটি পেতে লেখাপড়া শিখতে উদ্ধুদ্ধ হন। পরে জেলে বসেই লেখাপড়া শেখেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘জেলে আমাদের দেওয়া হতো ৫৬ গ্রাম চালের ভাত এবং সেখানে থাকতো মুড়ি আকারের পোকা। তখন ২৬ মাস জেলে ছিলাম।’
মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, জেল থেকে লেখাপড়া শিখে আসতে পেরেছিলেন বলেই তিনি তার জীবনের অমোঘ সত্যগুলো আজ লিখতে পারছেন। তার ভাষ্যে, ‘সত্যের মধ্যে ভয়ংকর শক্তি আছে, যেটি কল্পনায় নেই।’ 

/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রেলক্রসিংয়ে রিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, বাবার মৃত্যু মেয়ে হাসপাতালে
রেলক্রসিংয়ে রিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, বাবার মৃত্যু মেয়ে হাসপাতালে
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
গরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন