ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের গণরুমে শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিপি নুর অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ডাকসু ভিপি বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট ও হল সংসদের সভাপতি অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হল প্রভোস্ট অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই দুই শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। এরপরে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
ভিপি নুরের অভিযোগ, দুপুরে তিনি শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে গণরুমে যান। এ খবর পেয়ে হল ছাত্রলীগের দুই কর্মী তাকে এবং সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনকে বাধা দেন। এক পর্যায়ে কেন ছাত্রলীগের অনুমতি ছাড়া হলে প্রবেশ করেছে এর জবাবদিহিতা চান তারা। পরে হেনস্তা করে তারা আমাকে গণরুম থেকে বের করে দেন।
নুর জানান, ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সাদিক এবং ওই হলের শিক্ষার্থী মাজেদুল।
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও আমি এসএম হলে গিয়ে ছাত্রলীগের হেনস্তার শিকার হয়েছি। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েও বিচার করেনি। বিচার না করার কারণে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।’ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে গেলেই ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে ছাত্রলীগের অভিযোগ, ভিপি নুর ওই হলে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভিপি ওই হলে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে বলে আমরা পাল্টা অভিযোগ পেয়েছি। সৌজন্যতা শুধু এক পক্ষ থেকে দেখালে হবে না, উভয় পক্ষ থেকে দেখাতে হয়।’
ঘটনার বিষয়ে বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভিপি নুর কোনও ব্যক্তি নয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। তার হলে আসার বিষয়ে আমরা অবহিত ছিলাম না। হল সংসদ বা হল কর্তৃপক্ষকে তার জানানো উচিত ছিল। অভিযোগ পাওয়ার পর দুই শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দেশের বাইরে অবস্থান করায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।