জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে করা আপিলের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের তিনটি প্রবেশ পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশপথগুলোতে নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়াও আদালত ভবনের প্রবেশপথগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এইচএম আজিমুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সব অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।’
চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ১২ নম্বরে রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বৃহত্তর আপিল বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হবে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। পরে গত ৫ ডিসেম্বর ওই রিপোর্ট দাখিলে পুনরায় ১১ ডিসেম্বর সময় বেঁধে দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ডিসেম্বর রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টে পাঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তিনটি ফটকের প্রত্যেকটির সামনেই একটি করে মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে। এর আগেও খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির দিনে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম ও বাহাউদ্দিন ইমরান।