কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি এবং অন্যান্য শর্ত বাস্তবায়নের জন্য ইজারা গ্রহীতাদের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বিকালে গুলশানে ডিএনসিসি’র নগর ভবনে ছয়টি হাটের ইজারা গ্রহীতাদের ডেকে এনে এই নির্দেশ দেন মেয়র।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের গণসংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেক ইজারা গ্রহীতাকে কোরবানি পশুর হাটে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় ইজারা বাতিল করা হবে। আর হাট মনিটর করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা হাটগুলো প্রতিদিন পরিদর্শন করবেন। এছাড়া, প্রতিটি হাটে একটি করে মোবাইল কোর্ট থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য শর্ত মেনে চলছে কিনা, তা নিশ্চিত করতেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকায় এবার মোট ছয়টি পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে একটি স্থায়ী এবং পাঁচটি অস্থায়ী হাট। স্থায়ী হাটটি হলো গাবতলী পশুর হাট। আর অস্থায়ী পাঁচটি হাট হচ্ছে— উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে বৃন্দাবন হতে উত্তর দিকে বিজিএমইএ ভবন পর্যন্ত খালি জায়গা, কাওলা শিয়াল ডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদ নগর) পশুর হাট এবং উত্তরখান মৈনারটেক হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা।
দরপত্র আহ্বানের পরও জনস্বার্থে ছয়টি হাটের ইজারা বাতিল করেছে ডিএনসিসি। ইজারা বাতিল করা হাটগুলো হচ্ছে— বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাব নগর), ভাসানটেক রাস্তার অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত অংশ ও পাশের খালি জায়গা, উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম অংশ এবং ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম পাশের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক সংলগ্ন বছিলা হাট।