X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকে হিসাব খোলার আগেই ঋণের সুপারিশ পেয়েছিলেন সাহেদ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ জুলাই ২০২০, ২১:৫৫আপডেট : ২১ জুলাই ২০২০, ২৩:২৬

মো. সাহেদ রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এনআরবি ব্যাংকে হিসাব খোলেন ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর। কিন্তু এর একদিন আগেই তার ঋণ মঞ্জুরির জন্য সুপারিশ করেন ব্যাংকটির দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন ১ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৬ টাকা।

ঋণের জন্য সুপারিশ করা এনআরবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা হলেন, এসই ব্যাংকিংয়ের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সোহানুর রহমান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ বিন আহমেদ। এছাড়া ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলের সম্পৃক্ততা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে সাহেদসহ এই চার জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন। এ ব্যাপারে কমিশন থেকে মঙ্গলবার(২১ জুলাই) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতাল পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা, অন্য ব্যাংকের লেনদেন বা বিনিয়োগের তথ্য যাচাই, ঋণ নিরাপত্তার পর্যাপ্ত জামানত সংগ্রহ না করেই সাহেদকে দুই দফায় ২ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৭ টাকা ঋণ দেয় ব্যাংকটি। ঋণ নেওয়ার পর এই টাকা আর পরিশোধ করেননি সাহেদ। টাকা পরিশোধ না করায় সুদ এবং অন্যান্য চার্জসহ সাহেদের কাছে ব্যাংকের পাওনা হয় ২ কোটি ৭০ লাখ ২ হাজার ১৪ টাকা। তবে ঋণ মঞ্জুরির শর্তানুযায়ী এক কোটি টাকা এফডিআর করেছিলেন তিনি। দুই টার্মে দুই কোটি টাকা ঋণ পাবেন তা নিশ্চিত হওয়ার পরই এই এফডিআর করেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা উদ্ধার করতে না পারায় তার এফডিআর থেকে এক কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৯ টাকা সমন্বয় করে। এতে তার কাছে পাওনা হয় ১ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৬ টাকা।

দুদকের মামলায় আসামি হতে যাওয়া চার জন পরস্পর যোগসাজশে এই টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে দুদক। টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিল। পরে ১৫ জুলাই ভোরে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

হাসপাতালে অভিযানে পর থেকে সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে ‍দুদকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। এ দলের অন্য সদস্যরা হলেন মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

 

/আরজে/এফএএন/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ব্রাজিলের জার্সিতে এই বছরই শেষ মার্তার
ব্রাজিলের জার্সিতে এই বছরই শেষ মার্তার
৩ মে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ডেকেছে ইসলামী আন্দোলন
৩ মে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ডেকেছে ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন
ওলামা দলের আংশিক কমিটি দিয়েছে বিএনপি
ওলামা দলের আংশিক কমিটি দিয়েছে বিএনপি
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী