X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ার্ড বয়কে দিয়ে অপারেশন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ অক্টোবর ২০২০, ০৬:৪১আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০৬:৪১

সিলগালা করে দেওয়া হয় মক্কা-মদিনা হাসপাতাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর-শ্যামলী এলাকায় নানান অভিযোগের ভিত্তিতে তিনটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান শেষ হয় আজ ভোর ৪টায়। অভিযানে হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায়, মালিক কর্মচারীদের জেল-জরিমানা ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদপুর এলাকায় নুরজাহান অর্থপেডিক্স হাসপাতালের একটি চক্র সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে আনতেন। উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেও অপরিষ্কার ফ্লোরে রক্ত মাখা কাপড় ও ওয়ার্ড বয়কে দিয়ে অপারেশন করানো হতো। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটির পরিচালক বাবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ওয়ার্ড বয়কে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন র‍্যাবের এই আদালত। পাশাপাশি অন্য অভিযোগের ভিত্তিতে নুরজাহান অর্থপেডিক্স হাসপাতালসহ আরও একটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (২৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতর ও র‍্যাব-২ এর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

হাসপাতালের ভেতরে নোংরা পরিবেশ অভিযান শেষে তিনি বলেন, রাজধানীর শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর থানার বাবর রোডে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে এসে কম খরচে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার আশ্বাস দেয় দালালচক্র। তারা রোগী আনার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া। 

তিনি আরও বলেন, ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অনুমোদনের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে চার মাস আগে। পরিচালক হাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন (৫০)। তার পড়াশোনার দৌঁড় এইচএসসি পর্যন্ত। একাধারে তিনি হাসপাতালটির পরিচালক ও ডাক্তার। আবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও হাসপাতালটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

অভিযানের শুরুতেই মক্কা-মদিনা হাসপাতালে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে পরিচালক নূর নবীর কোনও ধরনের চিকিৎসা প্রদানের সনদ বা অনুমোদন নেই। তিনি তার রুমে বসে রোগী দেখছেন এবং তাদের ব্যবস্থা পত্র দিচ্ছেন। হাত ভাঙ্গাসহ বিভিন্ন গুরুতর আহত যে রোগীরা আসছেন তাদেরকে অপারেশন করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। যা তিনি কোনওভাবেই দিতে পারেন না। এ অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাসপাতালটির পরিচালক নূর নবীকে এক বছরের কারাদন্ডসহ আনোয়ার হোসেন কালু ও তার সহযোগী আব্দুর রশিদকে ৬ মাস করে সাজা প্রদান করেন। সেই সঙ্গে মক্কা-মদিনা হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন। তারা বেশিরভাগই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। তারাই বেশি এই সব দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন। আমরা চাই মানুষ কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে এমন এইচএসসি পাস চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার নামে প্রতারিত না হন। এমন অপচিকিৎসা মানুষের অর্থ ও জীবনের জন্য খুবই বিপজ্জনক। 

/এসএইচ/আরআইজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?