দেশের অধিকাংশ নারী সন্তান গ্রহণে তাদের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণেও আছে তাদের ভূমিকা। বাংলা ট্রিবিউনের উদ্যোগে পরিবারে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪ হাজার ৮০০ জন নারীদের মধ্যে ৪৯.০২ শতাংশ নারী সন্তান গ্রহণে তাদের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে মত দিয়েছেন। জরিপে প্রতিটি পেশায় ১৬০০ নারীর ওপর এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। যেখানে পেশাভিত্তিক বিবেচনায় দেখা যায়, গৃহিণীদের মধ্যে ৬৭.২৫ জন, কর্মজীবীদের মধ্যে ৬২.৫০% জন এবং ছাত্রী/শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭.৩১% জন নারী বলছেন- সন্তান গ্রহণে তাদের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
জরিপের এই প্রশ্নে দেখা যায়, ১৬০০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭২.২৫ শতাংশ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণেও নিজেদের ভূমিকার কথা উঠে এসেছে জরিপে। দেশের ৪৯.৫৪ শতাংশ নারী জানিয়েছেন- সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তাদের অংশগ্রহণ রয়েছে। এছাড়া ১১.৪০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন কখনও কখনও তাদের এ বিষয়ে অংশগ্রহণ ছিল।
উল্লেখ্য, দেশের আট বিভাগে ৬০০ জন করে মোট ৪ হাজার ৮০০ নারীর ওপর বাংলা ট্রিবিউন এই জরিপ পরিচালনা করে। যার মধ্যে শহরগুলো থেকে ৩০০ জন এবং গ্রাম পর্যায়ে ৩০০ জনের ওপর এই জরিপ হয়।
জরিপ পরিচালনা: বাংলা ট্রিবিউন
জরিপ পরিচালনার সময়কাল: ২২ ফেব্রুয়ারি- ২৯ ফেব্রুয়ারি
নমুনা (sample) সংগ্রহের প্রক্রিয়া:
১. প্রতিটি বিভাগে ৩০০ জন শহুরে এবং ৩০০ জন গ্রামীণ নারীকে ২০টি করে প্রশ্ন করা হয়। (এভাবে আটটি বিভাগে মোট ৪ হাজার ৮০০ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়)।২. শহুরে বলতে বোঝানো হয়েছে- বিভাগীয় শহর বসবাসকারী নারী এবং গ্রামীণ বলতে বোঝানো হয়েছে- জেলা, উপজেলা, থানার গ্রাম পর্যায়ের বসবাসকারী নারী।
৩. শুধু নারীদের ওপরই এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
৪. পেশাভিত্তিক অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা সমান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী ১০০ জন, কর্মজীবী নারী ১০০ জন এবং গৃহিণী ১০০ জন।
৫. দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতি অংশগ্রহণকারীর উত্তর নেওয়ার পর ৫ মিনিট অন্তর অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়।৬. জরিপকারীরা একই স্থানে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা অবস্থান করেছেন।
৭. নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা/বিভাগের হাটবাজার/শপিংমলকে স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।৮. দেশের আটটি বিভাগে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।