সী মানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার এ খবর পৌঁছানোর পরপরই সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী নবিদুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান সোপ্তিক আহম্মেদ মিঠু মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা সয়দাবাদ ইউনিয়নের কড্ডায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দফায়-দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হন। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে কড্ডায় বর্তমান চেয়ারম্যান সোপ্তিক আহম্মেদ মিঠুর অফিস, বাড়িঘর এবং নিজ ভবনে একটি হাসপাতাল ভাঙচুরসহ মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সদর ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। উভয়পক্ষের সংর্ঘষ এবং পুলিশের গুলি ও লাঠিচার্জে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান সোপ্তিক আহম্মেদ মিঠু জানান, সয়দাবাদ ইউনিয়নের সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই বিরোধ ও সমস্যা রয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিয়নবাসীর পক্ষে পরিষদের সকল সদস্য রেজুলেশন করে সম্প্রতি উচ্চ আদালত বরাবর রিট করা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর বৃহস্পতিবার সকালে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসে। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী নবিদুল ইসলাম ও তার ভাই মমিন মেম্বার সংঘবদ্ধ হয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর, আমার বিল্ডিং এ ভাড়া দেওয়া একটি হাসপাতাল ও অফিস ভাঙচুরসহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় আমার বেশ ক’জন সমর্থক আহত হন।