X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবন নিয়ে কথা বলায় ‘ওনার’ গায়ে জ্বালা ধরেছে: খালেদা জিয়া

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ আগস্ট ২০১৬, ২২:৩৮আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০১৬, ০৩:০৫



খালেদা জিয়া

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের জেরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমি সুন্দরবন নিয়ে কথা বলায় ওনার (শেখ হাসিনা) গায়ে লেগেছে। ওনার গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। উনি বলুক যে তথ্য আমি দিয়েছি সেগুলো ভুল কি না।’ শনিবার রাত পৌনে দশটায় বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের জাতীয় সম্পদ, এটা কোনও দলের না। আমরা বলিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না। আমরা বলেছি যে সুন্দরবন ধ্বংস করে নয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র অন্যত্র করা হোক।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে। এখন ক্ষমতায় আছে তাই হয়তো কাউকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কিন্তু ক্ষমতার বাইরে গেলে মানুষকে এর জবাব দিতেই হবে। আওয়ামী লীগ সরকার বহু রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো এরকম আরও আছে। পরবর্তীতে এগুলো জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আরও অনেকে।

২৪ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া নিজের তথ্য-উপাত্তকে সমর্থন করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যদি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়, তাহলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি দেশের। আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। সেখানে হিন্দু বলেন, আর মুসলমান বলেন, কেউ বসবাস করার অবস্থায় থাকবে না। সুন্দরবন জাতীয় সম্পদ, এটা বিএনপিরও না, আওয়ামী লীগের না। সুন্দরবনটা শেষ হয়ে যাবে, এটা কী আমাদের জন্য ভালো হবে,’ বলে প্রশ্ন করেন বিএনপি প্রধান।

অপকর্ম ঢাকতেই জঙ্গি-জঙ্গি শুরু করেছে আ.লীগ

খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজের সব অপকর্মকে ঢাকার জন্য এখন শুরু হয়েছে জঙ্গি জঙ্গি। এই যে গুলশানের হলি আর্টিজানের কিন্তু তদন্ত-টদন্ত সেকরকম কিছু হয়নি। জনগণের কাছে এটা পরিষ্কার করেনি, কারা এর সঙ্গে জড়িত। এটা যেতে না যেতেই দেখা গেল কল্যাণপুর। সেটার ছবিও আপনারা দেখেছেন। সাত-আটটা গুলি করা হলো পেছন থেকে। সবাই মারা গেল। এরা অল্পবয়সী শিক্ষিত ছেলে। বোঝাই যায়, যে এটা সাজানো ঘটনা। তাদের কেন মারা হলো,’প্রশ্ন রাখেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া আরও অভিযোগ করেন, ‘আজ পর্যন্ত সত্যিকার জঙ্গি ধরা পড়েনি। যাকে-তাকে ধরো, অমুক ধরো তমুক ধরো, এরপর ক্রসফায়ার করে বাহ্বা কুড়ায়।’

খালেদা জিয়ার অভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে মারলেও গ্রেফতার হন না।’

এসটিএস/এমও/এপিএইচ/

 

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যুবলীগ নেতার ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যুবলীগ নেতার ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল