X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

হান্নান শাহ’র মৃত্যুর দিনে মহিলা দলের কমিটি!

বিশেষ প্রতিবেদক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৭:৪৫আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৭:৪৭

হান্নান শাহ মহিলা দলের রাজনীতি এবং কমিটি গঠন দু’টিকেই বেশ স্পর্শকাতর বিষয় বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। বুধবার এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য আ স ম হান্নান শাহ’র মৃত্যুর দিনে। এ নিয়ে নেতারা অসন্তুষ্ট ও কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দলের স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তিনি গত দু’দিন ধরে নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের ফোনই ধরছেন না। কারণ স্থায়ী কমিটির এক নেতার মৃত্যুর দিনে কেন ওই কমিটি ঘোষণা করা হলো এর জবাব নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের দেওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া ঘোষিত কমিটিও ভালো হয়নি। আফরোজা আব্বাসের একমাত্র পরিচয় তিনি মির্জা আব্বাসের স্ত্রী এবং সুলতানা আহমেদের পরিচয়ের চেয়ে বড় কথা ইদানিং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার হাত ধরে হাটেন। দলটির নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন- ওই দুই ‘ক্রাইটেরিয়া’ বা যোগ্যতাই তাদের মহিলা দলের নেতৃত্বে নিয়ে এসেছে। এতে রাজনৈতিকভাবে বিএনপির লাভ না ক্ষতি হলো এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। বলা হচ্ছে- রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কিংবা যোগ্যতার চেয়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এখন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বিএনপিতে।  

জানা যায়, হান্নান শাহ’র মৃত্যুর খবরের মধ্যেই মহিলা দলের কমিটি ঘোষণায় দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অনেকেই ফোন করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্ষুব্ধ নেতাদের ভাষ্য, ‘বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রজ্ঞার যে অভাব দেখা দিয়েছে তা এ ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হয়েছে।’

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নতুন কমিটির দুই শীর্ষ নেতা

এদিকে বঞ্চিত মহিলা দলের নেতারা কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতাদের তুলোধুনো করছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। তাদের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য অধিকাংশ সিনিয়র নেতা অবশ্য বলছেন, কমিটি ঘোষণার সঙ্গে তারা সংশ্লিষ্ট নন। তারা অভিযোগের আঙুল তুলছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং গুলশান কার্যালয়ের প্রভাবশালী কর্মকর্তা শিমুল বিশ্বাসের দিকে। কারণ বিএনপিতে এখন এটি স্পষ্ট যে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিংবা স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমাদের মতো নেতার বিএনপিতে কোনও ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা বিএনপির ওই সিন্ডিকেটের হাতে, যে সিন্ডিকেটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদের। অবশ্য বুধবার কমিটি ঘোষণার সময় রিজভী আহমেদ কারাগারে ছিলেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য লে জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের মতে, হান্নান শাহ’র মৃত্যুর দিনেই কমিটি ঘোষণা করা কিছুতেই উচিৎ হয়নি। যারা এ কাজ করেছেন তারা অন্যায় করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহিলা দল এমনিতেই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান অবশ্য মনে করেন, কাকতলীয়ভাবে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যের মৃত্যুর দিনে কমিটি ঘোষণা হয়েছে। তিনি বলেন, কমিটি স্বাক্ষরের সময় হয়তো বোঝা যায়নি যে হান্নান শাহ মারা যাবেন। এদিকে কমিটি স্বাক্ষরের পর তা গোপন রাখাও কঠিন। এজন্যই শেষ পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বাস্তবতাটুকু সবার মেনে নেওয়া উচিৎ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থায়ী কমিটির অপর দু’জন সদস্য বলেন, মহিলা দলে শিরিন সুলতানার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু শিরিনের বদলে রেহেনা আক্তার রানু, রানুর বদলে আসিফা আশরাফি পাপিয়া, কিংবা পাপিয়ার বদলে নিলোফার চৌধুরী মনিকে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হলে সেটিও সমর্থনযোগ্য হতো। কিন্তু যাদেরকে আনা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই কখনও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। পাশাপাশি দু’একজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

এদিকে, নতুন কমিটিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সমর্থকরা প্রাধান্য পেয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। কারণ তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে করা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। অন্যদিকে, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তার হাত ধরে হাঁটেন, শুধু এই পরিচয়ে সুলতানা আহমেকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। অথচ ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে মহিলা দলের রাজনীতিতে আসা শিরিন সুলতানা, রেহেনা আক্তার রানু, নিলোফার চৌধুরী মনি, আসিফা আশরাফি পাপিয়ার  মতো আলোচিত নেতাদের কমিটির শীর্ষ পদগুলো থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। 

তাছাড়া আফরোজা-সুলতানার নেতৃত্বাধীন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে মহানগরী বিএনপির সাবেক নেতা সাদেক হোসেন খোকার সমর্থকদের কোণঠাসা করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলছেন অনেকে। মহিলা দলের মধ্যে খোকার ঘোর সমর্থক ছিলেন আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা। তাকে ওই কমিটিতে রাখা হয়নি। গত আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন শিরিন। মূলত ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শিরিন ওই পদ ছাড়েন। শিরিনের আশা ছিল, কেন্দ্রীয় কমিটির পদ ছেড়ে দিলে মহিলা দলের সভাপতির পদ তাকেই। কিন্তু মহিলা দলে কোনও পদ না পাওয়ায় দলে শিরিনের এখন কোন পদই থাকলো না।

শিরিন সুলতানা নিজেও অবশ্য মনে করেন রাজনীতি করার পরিবেশ এখন আর মহিলা দলে নেই। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, রাজনীতি আর আছে নাকি যে রাজনীতি করবো? তাছাড়া দল যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে। এখন হয়তো আর রাজনীতিও করবো না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যের মৃত্যুদিনে কমিটি ঘোষণার ব্যাপারে জানতে চাইলে ১৯৯৪ সাল থেকে মহিলা দল করা শিরিন বলেন, ‘এটি কিভাবে করা হলো তা আমারও বোধোগম্য নয়। এটি যারা করেছেন তারা বিএনপির ভালো চান কিনা সন্দেহ আছে।

প্রায় একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রোম যখন পোড়ে, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজায়’ বিএনপির এখন এ অবস্থা। দলের শীর্ষ একজন নেতার মৃত্যুর দিনে কমিটি ঘোষণা করে মহিলা দল কী এমন কৃতিত্ব প্রদর্শন করবে বুঝতে পারছি না।  আসলে বিএনপি এ পর্যন্ত শীর্ষ অনেক নেতাকেই সম্মান দেখাতে পারেনি।’

কমিটি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় সহ-স্বনির্ভর বিষয়ক এই সম্পাদক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালের সূর্য দেখলেই বোঝা যায়, দিনটি কেমন যাবে! রাজনীতির তুলনায় ব্যক্তিগত সম্পর্ক যে দলে গুরুত্ব পায় সেখানে এর চেয়ে ভালো আর কী হবে।’

সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া এ কমিটিকে ‘আব্বাস-গয়েশ্বরের’ কমিটি বলে মন্তব্য করেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী হিসেবে আফরোজা আব্বাস সভাপতির পদ পেয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, যুগ্মমহাসচিব হারুন অর রশীদের স্ত্রী হিসেবে আমি কোনও পদ পেলাম না।

ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের কঠোর সমালোচনা করে ৮০’র দশকের এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘১৯৯৭ সালে মোসাদ্দেক আলী ফালুর হাত ধরে রাজনীতিতে  এসে সুলতানা আজ মহিলা দলের বড় পদ বাগিয়ে নিলেন। অথচ বিএনপিতে তিনি প্রচণ্ড বিতর্কিত। তার ভাবমূর্তি নিয়েও সর্বস্তরে নেতিবাচক আলোচনা চলছে। অথচ আমরা জেল-জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করেও বঞ্চিত হয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘হান্নান শাহ’র মৃত্যুর দিনে মহিলা দলের কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি তাকে বেইজ্জতি করেছে। এর মধ্যে দিয়ে দলের সর্বস্তরে বার্তা গেলো যে, বিএনপি তার দলের নেতাদের সম্মান করতে জানে না।’

প্রসঙ্গত, শিরিন সুলতানার মতো পাপিয়াও গত আগস্টে সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদকের পদের পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলে বিএনপির কোনও পর্যায়ের কমিটিতে এখন আর পাপিয়াও নেই।      

সূত্র জানান, মহিলা দলের কমিটি নিয়ে মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আব্বাস সমর্থকদের দৌড়-ঝাঁপ গুলশান কার্যালয়ে বেশ আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। বিশেষ করে গত জাতীয় কাউন্সিলের পর শিরিন সুলতানা ও রেহেনা আক্তার রানুর সঙ্গে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাগবিতণ্ডার কারণে দলের ওই অংশটি মহিলা দল নিয়ে তৎপরতা শুরু করে। কারণ ওই ঘটনার পর খালেদা জিয়া শিরিনের বদলে সুলতানার হাত ধরে হাঁটা শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে সুলতানার প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ তৈরি হলে আব্বাসপন্থীরা তা কাজে লাগানোর চেষ্টা চালায়। তারা আফরোজা আব্বাস ও সুলতানার নেতৃত্বে কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা নিয়ে যান খালেদার কাছে। এ নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে তারা একাধিক বৈঠকও করেন। ফলে শেষ পর্যন্ত খালেদা এ প্রস্তাবে রাজি হন।

বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসেন আফরোজা। এরই ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত তিনি মহিলা দলের মূল নেতৃত্বে এলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আব্বাস  সমর্থকদের মধ্য থেকে তাকে নেতৃত্বে আনার একটি প্রস্তাবনা এলেও আব্বাসেরই শুভাকাঙ্ক্ষীদের কেউ কেউ এর বিরোধিতা করেন বলে জানা যায়। তাদের যুক্তি ছিল এই- মহিলা দলের রাজনীতি করে ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখা কঠিন। পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত ‘গরম মেজাজের’ মানুষ আব্বাস স্ত্রীর প্রশ্নে  সব কথা সহ্য করতে পারবেন কি না এ নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ফলে তারা ধরে নিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত হয়তো আব্বাস তার স্ত্রীকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পদে আসতে নাও দিতে পারেন।  

জানা যায়, আব্বাসের সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর স্থানীয় (খিলগাঁও-মালিবাগ অঞ্চলে) রাজনীতিতে বিরোধ রয়েছে শিরিনের। পাশাপাশি সুলতানার সঙ্গে শিরিনের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এদিকে, বিএনপির রাজনীতি কার্যত এখন  আব্বাসপন্থী নেতাদের দখলে। ফলে মহিলা দলকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল হিসেবে ওই কমিটিও তারা বের করে নিয়ে এসেছেন।

/এইচকে/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক